ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

৪ ঘণ্টা পর মুক্ত হলেন বিএনপি নেতা খোকন ও নেতাকর্মীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
৪ ঘণ্টা পর মুক্ত হলেন বিএনপি নেতা খোকন ও নেতাকর্মীরা

নরসিংদী: বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সমাবেশ চলাকালে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।  

সোমবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর খায়রুল কবির খোকন কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। পরে নেতাকর্মীরা যার যার মতো বের হয়ে যান।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের গেইটের সামনে ও চারপাশে  পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে কার্যালয়ের ভেতর কর্মীরা দাঁড়িয়ে আছেন। নেতাকর্মীরা বের হলেই তাদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে। একজনকে আটক করতেও দেখা গেছে। গ্রেফতার আতঙ্কে কোনো নেতাকর্মীরাই বের হচ্ছে না।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে নরসিংদী জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চিনিশপুর কার্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের শেষ মুহূর্তে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নেতাকর্মীরা বের হতে গেলেই গণ-গ্রেফতারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। পরে বিএনপির মূল ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে চারপাশ ঘেরাও করে রাখে। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ হয়ে থাকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে রাত পৌনে ১০টায় খায়রুল কবির খোকন কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। পরে নেতাকর্মীরা যার যার মতো বের হয়ে যায়।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ব্যাতয় ঘটানো হয়েছে। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বের হতে চাইলে ১০-২০ জনকে আটক করে। একই সঙ্গে বিএনপির কার্যালয়ের চারপাশে পুলিশ ঘিরে রাখার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। বের হলে আটক বা গ্রেফতার হবে এই ভয়ে কেউ বের হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ভেতরে যেসব নেতাকর্মী আছেন তারা সকলেই তাদের মামলায় জামিনে রয়েছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা নাই। তারপরও আমাদের হয়রানি করা হয়েছে।
 
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরাই অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন। পুলিশ তাদের কিছুই করেনি। এখন তারা অবরুদ্ধ হয়ে থাকলে পুলিশ কি করবে। মূলত অনেক লোকজন জড়ো হওয়ার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় এলাকায় অবস্থান করছিল যেন অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি না হয়।

>>> নরসিংদীতে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী অবরুদ্ধ

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।