বেনাপোল (যশোর): শার্শা উপজেলার ৭ নম্বর কায়বা ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার সময় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধনী অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত কুতুবউদ্দিন উপজেলার ৭ কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের মহিউদ্দিন সরকারের ছেলে।
এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকার প্রার্থী হাসান ফিরোজ টিংকু ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের আগের দিনে এই মারামারি পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। ভোটারা যাতে ভোট কেন্দ্রে না যেতে পারে সেজন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
নিহতের ছোট ভাই শাহাবুদ্দিন জানান, তারা উপজেলার ৭ নাম্বার কায়বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনের আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় বিকেলে ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে তাদের ওপর হামলা চালায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে তিনিসহ ১০ জন আহত হয়েছন। এঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধনী অবস্থায় তার বড় ভাই শাহাবুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক নাহিদ শাহারিয়ার সাব্বির জানান, নিহতের ঘাড়ে ভোতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় আরো দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও খুলনায় রেফার করা হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধনী আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘন্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এমএমএস