ঢাকা: দেশের পরিবহন সেক্টর কাদের নিয়ন্ত্রণে, বিষয়টি জানতে চেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের।
রোববার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে জি এম কাদের এ প্রশ্ন তোলেন।
এ সময় তার পাশের আসনে বসেছিলেন বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা।
বক্তব্যের সময় জি এম কাদের বারবার রাঙ্গাকে দেখিয়ে হাসতে থাকেন। তখন পাশ থেকে রাঙ্গাকে বলতে শোনা যায়, আমরা গরিব। সবচেয়ে গরিব।
জি এম কাদের বলেন, জ্বালানি তেলে দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাসের মালিকরা বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করতেই পারেন। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু দেশব্যাপী মানুষ অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হলো। তেলচালিত বাস বন্ধ হলো। সেটা হতেই পারে, মানলাম। গ্যাসচালিত বাস বন্ধ হলো কেন? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ বা সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সারা দেশজুড়ে পরিবহন বন্ধ হওয়া স্বাভাবিক নয়। আমাদের বিআরটিএ বলে একটা সংস্থা আছে। যাত্রীদের জিম্মি করে অঘোষিত ধর্মঘট ডেকে যারা দাবি আদায় করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া উচিত। এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ দেখছি না।
বিরোধী দলের উপনেতা বলেন, মালিক সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে। ডিজেলচালিত বাসের জন্য একটা আর গ্যাসের জন্য একটা। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে একই ভাড়া। একটা অনিয়মের চিত্র দেখা গেল। পত্রিকায় দেখলাম, যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া দিতে চাইলে বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। পরিবহন সেক্টর আসলে কে নিয়ন্ত্রণ করছে, সরকার? সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে এখানে? নাকি মালিক-শ্রমিক সমিতি করছে? সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কি এই খাতের নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করছে?
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি খুব কি বেশি প্রয়োজন ছিল? আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে কমানো হয় না। কিন্তু বাড়লে বাড়ানো হয়। করোনার সময় আমরা সেটা করিনি। তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমবে বলে অনেকে মনে করছে। এটি দেশের বাজারে পুনঃনির্ধারণ করা উচিত।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জি এম কাদের।
বাংলাদেশে সময় ১৬৫০ ঘন্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এসকে/জেএইচটি