ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে পাবনায় পাঠানো উচিত: ডা. জাফরুল্লাহ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে পাবনায় পাঠানো উচিত: ডা. জাফরুল্লাহ 

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পাবনার ‘পাগলা গারদে’ পাঠানো উচিত বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কাউন্সিল উপলক্ষে ‘জাতি গঠনে যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

 

প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগ দাবি করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের শালীন হওয়া দরকার। আমাদের মন্ত্রিত্বের লোভ অমানুষ হওয়া উচিত না।  

তিনি আরও বলেন, ডা. মুরাদের মাথায় ক্যান্সার ঢুকে পড়েছে। তার জায়গা হওয়া উচিত পাবনার পাগলা গারদে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অবিলম্বে যদি ডা. মুরাদ হাসানকে বরখাস্ত করা না হয়, তাহলে সবাই বুঝবে আওয়ামী লীগ এসব নোংরা মানসিকতার লোকদেরকেই মন্ত্রী বানায়।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একজন মন্ত্রীর এতটা নোংরা ভাষায় কথা বলা সামগ্রিক রাজনীতির জন্য লজ্জাজনক। কেউ যদি তার স্ত্রী, বোন বা সন্তানকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন, তাহলে তার কেমন লাগবে?

সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে ‘অশালীন’ মন্তব্য করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তার ‘নারীবিদ্বেষী’ বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।  

নারীবিদ্বেষী, বিকৃত ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন দাবি করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে ওই বক্তব্য দিয়ে কোনো ভুল করেননি বলে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তিনি জানান, ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করার প্রশ্নই ওঠে না। কিংবা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সরকার ও দলের ওপর থেকে কোনো চাপও নেই।  

নিজে ‘অশালীন’ ভাষায় অন্যকে আক্রমণ করলেও রোববার (৫ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিপালিত হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। সেজন্য সাধারণ জনগণসহ সবার সঙ্গেই তাদের ভাষা ও ব্যবহারে মার্জিত, শোভন ও শালীন বোধ থাকা বাঞ্ছনীয়। সেবা দেওয়া ছাড়া তারা কারও সঙ্গেই কোনো অশোভন আচরণ করার অধিকার রাখেন না। এটা আমার কথা নয়, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।

জামালপুর সার্কিট হাউজে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এদিকে, জিয়া পরিবারকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিভিন্ন শ্রেণিপেশা থেকেও একই দাবি উঠেছে। এ বক্তব্যের জন্য প্রতিমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।  

সোমবার  এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি তার (তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান) ব্যক্তিগত বক্তব্য হতে পারে। এটা আমাদের কোনো বক্তব্য না, এটা আমাদের দলের কোনো বিষয় না। কেন এ বক্তব্য তিনি দিয়েছেন জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।