ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদার সুচিকিৎসার দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
খালেদার সুচিকিৎসার দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মারিস পেইনের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির ভেরিফাইড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিএনপির অস্ট্রেলিয়ার আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ বলেন, করোনার কারণে সরাসরি বৈঠক করতে না পারায় চিঠি এবং ইমেইলের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাতানো সাজা বাতিল করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এ জন্য গত ২ ডিসেম্বর দুটি আলাদা স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

তিনি জানান, স্মারকলিপিতে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য অবিলম্বে তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য সব ধরনের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছি আমরা।

স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মো. দেলওয়ার হোসেন স্মারকলিপিতে জানান, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাজানো মামলায় ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়। তাকে যখন কারাগারে নেওয়া হয় তখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। যা দেশবাসী গণমাধ্যমে অবলোকন করেছেন। দীর্ঘ কারাবাসে তিনি ক্রমান্বয়ে অসুস্থ হতে থাকেন। কারাগারে নানাবিধ জটিল রোগে ভুগতে থাকলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার তার সুচিকিৎসার জন্য দাবি করা হলেও সরকার অত্যন্ত নির্দয়ভাবে এ বিষয়ে নির্বিকার থাকে।

২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনা শুরু হলে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে নিজ বাসভবনে থাকতে দেওয়া হলেও সরকার এটিকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি বলে অভিহিত করেছে। নিজ বাসভবনে অবস্থান করলেও খালেদা জিয়া বন্দি এবং তার সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক কুদরত উল্লাহ লিটন বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও পোস্ট কোভিড জটিলতা এবং নানাবিধ জটিল রোগ তার জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছে। তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দাবি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আইন বিশেষজ্ঞগণ। আজকে দেশের অপামর জনসাধারণ দেশনেত্রীর মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোচ্চার।

স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেশের প্রচলিত আইনে কোনো বাঁধা নেই বলে আইন বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী দুর্বিনীত অমানবিক সিদ্ধান্তে জীবন-মরনের সন্ধিক্ষণে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া তার মৌলিক অধিকার হরণ। সচেতন দেশবাসী এ নির্দয় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এমএইচ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।