ঢাকা: পাঁচবিবি পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে মামলা ও মহিলা দল কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ তার সফরসঙ্গীদের ফেনীর কোনো হোটেলে থাকতে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ প্রতিবাদ জানান।
এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের কর্তৃক মানুষ হত্যা, খুন, জখমসহ রক্তাক্ত সহিংসতা ইত্যাদি কারণে দেশে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশব্যাপী এক ভয়াবহ দুঃশাসন কায়েম করার কারণেই জনপদের পর জনপদ রক্তাক্ত হচ্ছে। বিরোধীদল দমনের জন্যেই সরকার এক মরণখেলায় অবতীর্ণ হয়েছে। সেই রক্তাক্ত খেলার অংশ হিসেবেই জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা ফারুক হোসেনকে হত্যা করেছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। দেশে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটলেও সরকারি আনুকূল্যে দলীয় সন্ত্রাসীরা রেহাই পেয়ে যান। এজন্য আরও অতি উৎসাহে শহর থেকে গ্রামে মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত করছে দুস্কৃতিকারীরা।
তিনি বলেন, পুলিশ ফারুক হোসেনকে কৌশলে থানায় ডেকে এনে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার সুযোগ করে দেয়। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছাত্রদল নেতা ফারুক হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার থাকেন। সেজন্যই সরকার তাকে টার্গেট করে ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। অথচ বর্তমানে বিদেশে একটি হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা করার জন্যই তাকে হয়রানি করতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার আসলে কর্তৃত্ববাদী শাসন চিরস্থায়ী করার জন্যই বিভিন্ন কালাকানুন প্রণয়ন করে এসেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তার মধ্যে অন্যতম। ’
অন্য এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) ফেনীতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাংগঠনিক কাজে ফেনী সফররত মহিলা দল কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ তার সফরসঙ্গীদের ফেনীর কোনো হোটেলে থাকতে দেয়নি পুলিশ। এ ঘটনা প্রমাণ করে সরকারের পায়ের নিচের শেষ মাটিটুকুও আর অবশিষ্ট নেই। মানুষের নাগরিক অধিকার এখন ধুলোয় মিশে গেছে। বিএনপি নেতা-নেত্রীদের রাত্রিযাপনের অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটি সরকারের গণবিরোধী চণ্ডনীতিরই বহিঃপ্রকাশ। আমি ফেনী পুলিশের এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এমএইচ/এমআরএ