ঢাকা: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সংলাপকে তামাশা ও নাটক উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতা থাকবে ততদিন কোনো নির্বাচন কমিশন এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুতরাং যা করা হচ্ছে এগুলো হলো তামাশা, নাটক।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করেছিলেন। আজকে এ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়ে গায়ের জোরে সরকারে আছে। তারা আবারও একটা নির্বাচন করার জন্য নাটক শুরু করেছে। সেই নাটকের আজকে প্রথম মঞ্চায়ন হয়েছে বঙ্গভবনে। তারা নাকি নির্বাচন কমিশন করতে সার্চ কমিটি করতে আলোচনা শুরু করেছে। এগুলো হলো তামাশা। গত তিনটি নির্বাচনে আমরা দেখেছি। এ শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে এদেশে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। এগুলো হলো তামাশা, নাটক।
তিনি বলেন, এদেশে মূল সংকট হচ্ছে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার। এ স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে হবে। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তখন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন হবে, তখন পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার আগে এসব নাটক করে কোনো লাভ হবে না। অতএব আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। গণতন্ত্র আমাদের দল বার বার প্রতিষ্ঠা করেছে, আওয়ামী লীগ হত্যা করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে এ সরকারকে হঠিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো।
ড. মোশাররফ বলেন, এ সরকার একটি দানবীয় সরকার। আজকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশের একটি সংস্থার কর্মকর্তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার খবর। আজকে সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি কোথাও জায়গা পাচ্ছেন না, তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। এসব কাদের জন্য হচ্ছে? আজকে যারা ক্ষমতায় জোর করে দখল করে আছে তাদের জন্য, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের জন্য।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিমের পরিচালনায় সভায় মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আমিনুল হক, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এমএইচ/আরবি