ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংলাপে ইসি নিয়োগে আইনের দাবি জানাবে ১৪ দলের শরিকরা

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
সংলাপে ইসি নিয়োগে আইনের দাবি জানাবে ১৪ দলের শরিকরা

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দলগুলো এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের দাবি জানাবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিশন সদস্যদের নিয়োগে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার বলে দলগুলোর নেতারা মনে করেন।



তবে বর্তমান কে এম নুরুল হুদা কমিশনের মেয়াদের পর যে নতুন কমিশন গঠন করা হবে তার আগে এ সংক্রান্ত আইন করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে যাতে আইন করা হয় সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে জোর দাবি জানাবে দলগুলো।

নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ৪ জন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমান সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এর মধ্যেই নতুন সিইসি ও ৪ কমিশনারের নিয়োগের মাধ্যমে নতুন ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের কথা বলা থাকলেও এ সংক্রান্ত আইন এখনও প্রণয়ন করা হয়নি। তবে সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইসি সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি সোমবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করেছেন।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১৪ দলের শরিক দলগুলো রাষ্ট্রপতির সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগে আইন প্রণয়নের দাবি জানাবে। দলগুলোর অনেকেই আগে থেকে এ দাবি তুলে আসছে। তবে আসন্ন নতুন ইসি সদস্যদের নিয়োগের আগে এ আইন করা সম্ভব না হলেও এর পরবর্তী সময় যাতে আইন করা হয় ১৪ দলের শরিক দলগুলো সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে জোর দাবি জানাবে বলেও নেতারা জানান।

ওই নেতারা বলেন, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে ইসি সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু সংবিধানে যেহেতু আইন করার কথা বলা আছে তাই অবশ্যই সেটা করা উচিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও ইসি সদস্যদের নিয়োগে সংবিধানে নির্দেশিত আইন করা হয়নি। নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা জরুরি বলে ওই দলগুলোর নেতারা জানান।
 
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আগে থেকেই ইসি সদস্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন করার দাবি জানিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির সংলাপে এ বিষয়টি তুলে ধরবো। আমরা মনে করি এবারই ইসি সদস্যদের নিয়োগের আগে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব ৷ আইন করেই নতুন সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া সম্ভব কারণ এখনও দুমাস বাকি আছে।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এমপি বাংলানিউজকে বলেন, ইসি গঠনের আইন প্রণয়ন করা উচিত। আমরা আইন প্রণয়ন চাই। এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা দরকার। যত স্বচ্ছতার মধ্যে আনা যায় তত ভালো। আমরা রাষ্ট্রপতির সংলাপে এ বিষয়ে দাবি জানাবো। এবার হয়তো সম্ভব হবে না, তবে আগামীতে যাতে করা যায় সেটা আমরা বলবো।

ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সংবিধানেই বলা আছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নের কথা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আইন করা সম্ভব হয়নি। যদিও রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতা বলেই আলোচনার মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তবে আমরা চাই এ বিষয়ে আইন করা। সংলাপে আমরা এটা বলবো। এবার সম্ভব হলে এবারই আইন করার দাবি জানাই, তা না হলে আগামীতে করার দাবি আমরা জানাবো।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২১
এসকে/এসএমএকে/আরবি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।