বগুড়া: বগুড়ার সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার গুলিবিদ্ধ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে উপজেলার মালগ্রাম এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরেক কর্মী মিনহাজ হোসেন আপেল (২৬) গুলিবিদ্ধ হন।
নাজমুল হাসান অরেঞ্জ বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন যাবত মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রাসেল, রাসানী ও সুমনের নেতৃত্বে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় একটি গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা করে। এতে অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পরদিন ৩ জানুয়ারি অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনের নামে মামলা করেন ৷
সোমবার রাতে নাজমুল হাসান অরেঞ্জের মৃত্যুর সংবাদে উত্তেজনা দেখা দিলে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
কেইউএ/এমজেএফ