ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বনানীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে মহানগর উত্তর বিএনপি।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীরা কবর প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মোনাজাত করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আমিনুল ইসলাম, মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আলীম নকী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিনের অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুর ১২টায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠান।
দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ২৬টি থানায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান এবং এতিম ও দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ।
বিকেল পাঁচটায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান হবে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে। আয়োজন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিটি কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ এবং সীমিত সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হন। তিনি ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান এবং পরবর্তীকালে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বসবাস ও চিকিৎসা করছিলেন। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া জাতীয় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। ২৭ জানুয়ারি তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
>>> কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এমএইচ/এনটি