ঢাকা: ‘মির্জা ফখরুলকে নির্বাচন কমিশনার করলে বিএনপি খুশী হবে’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুলকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ড. মোশাররফ, গয়েশ্বর চন্দ্রকে নির্বাচন কমিশনার করলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ করোনায় আক্রান্ত দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রোগ মানুষের হয়, রোগ যায়, রোগের চিকিৎসা আছে। কিন্তু আমরা সারা জাতি যে রোগে আক্রান্ত এই রোগটার চিকিৎসা আমার মনে হয় অতি জরুরি। আমরা যদি শুধু দোয়া খায়েরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি তাহলে এই আক্রমণের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার কারণ নাই। প্রায় ১৫বছর সারাজাতি নির্যাতিত। জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নয় এমন সরকার এই চরিত্রের হবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, দলন, পীড়ন, পেশীশক্তি, অথবা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন শক্তিগুলোকে কাজে লাগিয়ে জনগণের আকাঙ্খা, অধিকার চাপা দিয়ে দাপটের সঙ্গে সরকারে থেকে দেশের সম্পদ লুটপাট করে ক্ষান্ত নয়। লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করার মধ্যে দিয়ে আগামী দিন বাংলাদেশের মেরুদণ্ডটাকে ভেঙে ফেলা ও অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করার যে ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রটা যদি আমরা বুঝতে অক্ষম হই তাহলে এই দেশটা বাঁচানো আমাদের পক্ষে কষ্ট হবে।
তিনি বলেন, তারা নানা শক্তি দিয়ে আমাদের মুখ বন্ধ রাখতে পারে। তারা ভাবতে পারে আমরা অন্ধ, বিশ্ব কিন্তু অন্ধ না। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর চোখ খোলা। আমরা কিছু বলি বা না বলি তারা তাদের মতো করে বাংলাদেশের দুরাবস্থা বুঝতে সক্ষম বিধায় বিলম্ব হলেও আজকে নানা ধরণের সংবাদ প্রচার মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে সরকারের কুকর্ম, কুকীর্তিগুলো ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছে।
গয়েশ্বর বলেন, আপনারা শুনেছেন একটা স্যাংশন, নাম শুনেছি সাত জন। কিন্তু মনে হয় সাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই সাত জনের নাম প্রকাশিত হয়েছে তার বাইরেও যারা দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করে দুবাই গিয়ে আটকা পড়ে। তারপর দেশে ফেরত আসে। এটা হিসাব করলে সংখ্যাটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। এটা আমাদের আনন্দ বা পুলকিত হওয়ার কিছু নয়। এটা দেশের নাগরিক হিসেবে অপমানের। আমাদের দেশটাকে বিদেশিরা যে কোন মাপকাঠিতে পরিমাপ করছে তার প্রমাণ সাম্প্রতিকালে আমেরিকার বাইডেন যে গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে নিয়ে একটা সামিট করেছেন সেখানে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি লাভ করে নাই, আমন্ত্রিত হয়নি।
কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় দোয়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষক দলের সহসভাপতি নাসির হায়দার, খলিলুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মোশারফ হোসেন এমপি, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফ্লাইট লেফটেনেন্ট (অব.) হারুন অর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এমএইচ/জেডএ