ঢাকা: জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা ধরে রাখার সরকারের নতুন একটা কৌশল মাত্র। এ আইন সাংবিধানিক চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে না।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রব বলেন, ৭০-এর নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়নি বলেই জনগণ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে রায় দিতে পেরেছিল। সেসব এখন আওয়ামী লীগের কাছে ভুলে যাওয়া অতীত।
‘নির্বাচন হবে, নির্বাচন কমিশন হবে, সংবিধানের দায় পালনের জন্য নির্বাচনের আয়োজন করা হবে কিন্তু ফলাফল সরকারের অনুকূলেই থাকতে হবে-এ যখন সরকারের মনোবাসনা ও প্রতিজ্ঞা, তখন আর অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয়লাভ করাটাকেই সরকার ‘অধিকার’ বলে মনে করে। ’
নির্বাচন কমিশন আইন ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার অতীতের কলঙ্কিত সার্চ কমিটিকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছে মাত্র দাবি করে তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনাও সৃষ্টি করেনি। এ আইনে সরকারের আত্মতৃপ্তির উপকরণ যোগান হয়েছে কিন্তু জনগণের ভোটাধিকারের স্বপ্ন আরও তিরোহিত হয়েছে।
রব বলেন, এভাবে সাংবিধানিক নির্দেশনাকে লঙ্ঘন করা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকে পরিত্যাগ করা, আইনের শাসনকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কাঠামোগত ভিত্তি বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং যা মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়বে।
‘এসব মৌলিক বিষয় এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত সমাজ রূপান্তরের প্রশ্নে রাজনীতিবিদ, অংশীজন পেশাজীবী নাগরিক সমাজ ও বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিবেচনায় না নিলে একদিন আমাদের ‘স্বপ্ন’ ও ‘আকাঙ্ক্ষা’ দুটোই হাত ছাড়া হয়ে পড়বে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এমএইচ/আরবি