নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সভাপতি সেলিম ওসমান বলেছেন, সিটি নির্বাচনে অনেক মুখ কালাকালি হয়েছে। তবে প্রশাসনের সবাইকে ধন্যবাদ, কারণ কোনো রক্তপাত হয়নি।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নবনির্বাচিত নাসিক কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন, সভায় অনেকেই মাস্ক পরেননি। এ ভুল আমাদের হয়। রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে খেলেও মাস্ক খুলতে হয়। আমাদের নারায়ণগঞ্জে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সবাই ইচ্ছে মতো চলাফেরা করছেন। কেউ কিছু মানছেন না। এখানে কিন্তু বলা আছে একশ জনের বেশি লোক নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যাবে না। আপনাদের দেখতে হবে আপনাদের এলাকায় যেন করোনা না ছড়ায়।
তিনি আরও বলেন, আমি শকু ও মুন্নাকে ডেকেছিলাম। নিতাইগঞ্জে একটা টিকাকেন্দ্র বসছে। তার এলাকার লোকজন টিকা নিতে পারবে। বন্দরে আমাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতে পারে যে আমার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। অনেকে নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে আমার পক্ষে নির্বাচন করেছেন। নারায়ণগঞ্জ ব্যবসায়ের নগরী। তারা সবসময় সহযোগিতা করলেও এখন তারা বিপদগ্রস্ত।
তিনি বলেন, করোনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাই এখন সুবিধায় আছে। তারা এক টাকার মাস্ক পনেরো টাকা বিক্রি করেছেন। নারায়ণগঞ্জে আমরা হয়তো ১২শ’ লোক ব্যবসা করি। মালামাল বানানো হয়েছে কিন্তু তা তো ইউরোপে যায় না। একটা মাফিয়া চক্র তুলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সেকারণে আমাদের লস হচ্ছে। তারপরেই আমরা ব্যবসা চালাচ্ছি শ্রমিকদের কারণে। আমাদের শ্রমিকরা শিপমেন্টের অনেক দাম দেয়, সময়ও দেয়। সেকারণেই আমরা বিশ্বে এগিয়ে আছি। ইউরোপে করোনার কারণে আমাদের মালামাল বিক্রি হচ্ছে না।
সেলিম ওসমান বলেন, আমরা বসন্ত, হাম, ডায়ারিয়া, কলেরা দেখেছি। প্লেগ নামক একটা রোগ ছিল এরচেয়েও ভয়ানক। তবে আমরা এর থেকে পরিত্রাণের দিকে যাচ্ছি। ঢাকার মেয়র আতিক কাজের মাধ্যমে ডেঙ্গু কমিয়ে এনেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি ধরি কেউ টিকা ছাড়া থাকবো না কেউ মাস্ক ছাড়া চলবো না। এটা নিয়ে ওয়ার্ডের লোকজন নিয়ে বসলে এর সমাধান পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরকে শতভাগ টিকার আওতায় আনতে চাই।
সেলিম ওসমান বলেন, মেয়রের কাছে আবেদন সম্মিলিত ভাবে কাজ করেন। আমাদের দরকার না হলে নাই। কাউন্সিলরদের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করেন। যানজট, ফুটপাতের দোকান আস্তে আস্তে নিরসন হবেই। আমাদের শান্তির চরটা দাঁড় করাতে পারলে অর্ধেক লোক ওইদিকে চলে যাবে। তখন নয়ামাটি উকিলপাড়া থাকবে না। সময় দিতে হবে। রাতারাতি সিঙ্গাপুর হবে না। লিংক রোড যে এত তারাতাড়ি বড় হবে কেউ ভাবেনি। নারায়ণগঞ্জের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতা আছে। জনপ্রতিনিধি মানে আমি স্বেচ্ছায় মানুষের উপকারের জন্য এসেছি। আপনি রাস্তাঘাট বানানোর আগে কয়েকজন শিক্ষিত মানুষ বানিয়ে দেন। আজকে আমাদের দেশ থেকে কী রপ্তানি হয় না। আমরা জনপ্রতিনিধিরা সামনে থেকে সালাম পাই পেছন থেকে গালি খাই। আমার মৃত্যুর পরে যদি কেউ বলে মানুষটা ভালো ছিল তাহলে আল্লাহর কাছে সরাসরি সেটা চলে যায়।
তিনি বলেন, প্রতি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কমিটি করেন। সেখানে সবাই থাকবে। এ কমিটি হলে আপনাদের কাছ থেকে আর কেউ কমিশনার পদ নিতে পারবে না। বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস