ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত উত্তেজনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা রকমের লেখালেখি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন হলো যুবদল। কিন্তু গত এক দশক যাবত তাদের কর্মকাণ্ড অনেকটাই স্থবির। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর আগে আংশিক কমিটি দেওয়া হলেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। আন্দোলন সংগ্রামেও তাদের তেমন ভূমিকা দেখা যায় না।
এ অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার তাগাদা দিলেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই কমিটি গঠনের দায়িত্ব নেন। এরই মধ্যে আংশিক কমিটির নেতাদের মতামত নিয়েছেন। সোমবার (১৬ মে) সুপার ফাইভ নেতাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, এদিন বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে বসেছেন তারেক রহমান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শত শত নেতাকর্মী ভিড় করেন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরোনো কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না। এর বদলে নতুন করে সুপার ফাইভ কমিটি দেওয়া হতে পারে। নতুন কমিটিতে অবশ্য খুব একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়নি। সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে বাদ দিয়ে পুরনোদের দিয়েই নতুন কমিটি হবে বলে অনেকে বলছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কমিটি গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সে অনুযায়ী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে পুনর্গঠন কাজ চলছে। খুব শিগগিরই কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
সূত্র জানায়, গত ১০মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামত নেন তারেক রহমান। বেলা ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫১ জন নেতা পৃথকভাবে ভার্চ্যুয়ালি মতামত দেন। তবে এই মতামত প্রক্রিয়ায় যুবদলের বর্তমান কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে রাখা হয়নি। তাদের সঙ্গে নতুন করে সোমবার বৈঠকে বসেছেন তারেক রহমান।
২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর ১১৪ সদস্যের আবার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় ওই কমিটি দিয়েই চলছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যক্রম। এতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদপ্রত্যাশীরা হতাশার মধ্যে রয়েছেন। কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
এদিকে নতুন কমিটিতে কারা আসছেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কেউ বলছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু সভাপতির পদ পাচ্ছেন। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন এবং দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিনের নাম রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড