ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উন্নয়ন-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আ.লীগের বিকল্প নেই: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
উন্নয়ন-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আ.লীগের বিকল্প নেই: লিটন

রাজশাহী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।  

তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশকে সাম্প্রদায়িক করার জন্য, আবার পাকিস্তানকে ফেরত দেবার জন্যে যা যা করা দরকার জিয়াউর রহমান তাই করেছেন।

সেই দল পরবর্তী সময়ে যা করেছে তাও সবার জানা। তাই দেশের উন্নয়ন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকেলে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহানগরীর বাটার মোড়ে জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে, খন্দকার মোশতাককে সামনে দাঁড় করিয়ে নির্বাচন করেন। তিনি আওয়ামী লীগসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। নানা টালবাহানা শেষে বিএনপি গঠন করেন। এমনকি মৌলবাদীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। এই সুযোগ দেওয়ার পর দেশে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব আমরা দেখেছি। রগ কেটে মানুষের রক্ত দিয়ে হোলি খেলা, হত্যা করা, ড্রেনের মধ্যে গলা কেটে ফেলে দেওয়া, বাস-ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া, মানুষ পুড়িয়ে দেওয়া; এসবের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার জন্য, আবার পাকিস্তানে ফেরত দেওবার জন্যে যা যা করা দরকার জিয়া তাই করেছেন। আর আজ শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ, এটা সবার জানা।  

তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দীর্ঘ ছয় বছরের বাধ্যতামূলক প্রবাস জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুবিহীন এই বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন। দেশে ফিরে আসার পথে প্লেনে বাবা-মা, ছোট ভাই শেখ রাসেল ও বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে বারবার কেঁদেছিলেন তিনি। সেদিন বিমানবন্দরে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউতে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। পথে পথে লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বৃষ্টিতে ভিজেও দাঁড়িয়ে ছিল শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্য। তারা স্লোগান দিয়েছিল, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লক্ষ ভাই, শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই। ’ তিনি দেশে এসেছিলেন বলেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না এলে এতো উন্নত দেশ আমরা পেতাম না। শেখ হাসিনা না এলে আমাদের ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হতে হতো। সেখান থেকে শেখ হাসিনা আমাদের বাঁচিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দেশ গড়ছেন। বাংলাদেশ এখন সুন্দর সমৃদ্ধ-উন্নত দেশ। উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। আমরা আরও অনেক দূর যেতে চাই। যিনি আমাদের উন্নয়ন দিচ্ছেন, আমাদের তাঁর সঙ্গেই থাকতে হবে।

জনসমাবেশে বাটার মোড়ের চত্বরকে ‘জয়বাংলা’ চত্বর হিসেবে ঘোষণা করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

জনসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে জিয়াউর রহমান। জিয়ার অনুসারীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা চালিয়েছে। আজকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা জানে শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ পাকিস্তান হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ ভালো থাকে। বিএনপির ব্যবসায়ীরাও বলে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তারা ভালো থাকেন। সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষও মনে করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তারা ভালো থাকে।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার। এছাড়া সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান।

সমাবেশে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা।  

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রেন্টু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।

জনসমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।