ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সহিংসতা মামলায় আ.লীগ নেতার নাম, রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
সহিংসতা মামলায় আ.লীগ নেতার নাম, রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ

গাইবান্ধা: ২০২১ সালে গাইবান্ধা পৌর নির্বাচনে সহিংসতার মামলার অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগ নেতার নাম থাকার প্রতিবাদে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।  

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে জেলা শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে গাইবান্ধার নাগরিক পরিষদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় শ্রমিক লীগ গাইবান্ধা শহর শাখার সাধারন সম্পাদক
চঞ্চল সাহার সঞ্চালনায় ও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বাপ্পি দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদির রহমান মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ রঞ্জু, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদার রহমান শাহান, জাসদের জেলা সভাপতি গোলাম মারুফ মনা ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ বকসী সূর্যসহ অনান্যরা।

এসময় বক্তরা বলেন, সেদিনের নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিতভাবে অভিযোগপত্রে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম এবং তার আপন তিন ভাই শাহিন, রুবেল ও সোহেলের নাম নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ তারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছিলেন। তাদের বাড়ি ওই ভোট কেন্দ্র থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে। ভোটের দিন তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে কাজ করেছেন। শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে আজ তাদের চার ভাইকে এ মামলার আসামি বানানো হয়েছে।

পরে সমাবেশে সেদিনের সহিংসতার ঘটনায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের দেওয়া একটি বক্তব্যের অডিও শোনানো হয়।

এসময় গাইবান্ধার চারলেন সড়কের একপাশ বন্ধ করে প্রায় দেড় ঘণ্টা এ মানববন্ধন চলে। মানববন্ধনে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজার খানেক মানুষ অংশ নেন। শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি গাইবান্ধা পৌর নির্বাচনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোমরনই কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি আটকে দেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় সরকারি একটি গাড়িতে আগুন ও র‌্যাব- পুলিশের চারটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশও কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মেহের ও সেলিম নামের দুই কর্মীও আহত হন। পরে এ ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১৪০/১৫০ জন নারী-পুরুষকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।