ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

পদ্মা সেতু আ.লীগের লুট-দুর্নীতির প্রতীক: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
পদ্মা সেতু আ.লীগের লুট-দুর্নীতির প্রতীক: রিজভী

ঢাকা: পদ্মা সেতু ক্ষমতাসীন দলের লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (০১ জুন) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম; সেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, আপনি কোন অধিকারে চীনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পদ্মা সেতু বানিয়ে কৃতিত্ব নিচ্ছেন? ওই সেতু তো লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির প্রতীক। আজ যে শিশু ভূমিষ্ট হয়েছে তার মাথায় ৯৮ হাজার টাকা ঋণের বোঝা আছে। তাকেও ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আপনি চড়া সুদে লোন নিয়ে বলছেন নিজস্ব অর্থায়নে। অথচ এর মাধ্যমে পুরো জাতিকে ঋণগ্রস্ত করেছেন।

রিজভী আরও বলেন, পদ্মা সেতু বানাতে গিয়ে আর একটি বিষয় উঠে এসেছে। তা হলো আওয়ামী লীগের দুর্নীতি। এই সেতু অল্প সুদে বানাতে চেয়েছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা-মন্ত্রীরা টাকা চেয়েছেন। বলেছেন, এই টাকা অমুক কোম্পানিকে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা যদি জড়িত থাকে- তাহলে কি এটা প্রমাণ হয় না যে সরকারের উচ্চ পর্যায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত?

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার সরকার বৈধ নয়। আপনাকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। আপনি এবং আপনার মন্ত্রীরা যেভাবে কথা বলেন- তাতে প্রমাণ হয় আপনাদের ভোটের দরকার নেই। নিশিরাতের ভোট বা ভোটারবিহীন নির্বাচনের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে আপনাদের শাসনামলে।

রিজভী দাবি করেন, নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা ব্যারেজ করার দৃষ্টান্ত আছে কেবল জিয়াউর রহমানের। আওয়ামী লীগ চীনের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে বাহাদুরি দেখাচ্ছে।

এ সময় শেখ পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেনি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শেখ পরিবারের কোনো অবদান নেই। না শেখ হাসিনার, না তার স্বামীর। শেখ কামাল ট্রেনিং নিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিলেন, যদি তার কোনো ক্ষতি হয়ে যায়। আর রণাঙ্গনের সব বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি করেন। যেমন- ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। এ কারণেই আওয়ামী লীগের যত ঈর্ষা।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাবেক নেতা মোর্তাজুল করিম বাদরু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কৃষকদলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
এমএইচ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।