ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সাম্প্রদায়িকতা কাম্য নয়: মির্জা ফখরুল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
সাম্প্রদায়িকতা কাম্য নয়: মির্জা ফখরুল 

ঢাকা: নড়াইলের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, সাম্প্রদায়িকতা কোনো মতেই এদেশে কাম্য নয় এবং এগুলো কখনে্াই কোনো ভালো বিষয় নিয়ে আসে না।

এটা অন্যায়।

রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।  

মির্জা ফখরুল বলেন, সবাইকে অনুরোধ করব যে, এমন কোনো কথা না বলা বা স্ট্যাটাস না দেওয়া যাতে অন্য সম্প্রদায়ের লোকদের ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা মনে করি যে, ইট ইজ এ টোটাল ফেইলিউর অব দ্যা গভার্মেন্ট। দেশে এই যে একটা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করছে এটা সম্পূর্ণ.., এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই রামুর ঘটনা দেখেছেন, নাসিরনগরের (ব্রাক্ষনবাড়িয়া) ঘটনা দেখেছেন, অন্যান্য জায়গায় দেখেছেন- সবসময়ই সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা, বাড়ি-ঘর পুঁড়ে দেওয়া- এই ঘটনাগুলো দেখেছেন। এটা কারও কাম্য নয়।

শ্রীলঙ্কার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্রগত একটা ব্যাপার আছে। সেটা হচ্ছে দুর্নীতি। তারা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই চরম দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে যায়। আজকে গোটা দেশের চিত্র যেটা দেখছেন, শুধুমাত্র দুর্নীতি। দুর্নীতি এমন একটা জায়গায় চলে গেছে- যে জায়গায়টায় নো রিটার্ন হয়ে গেছে।

অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রথম কথা হচ্ছে- কাট ইউর কোট একরডিং টু ইউর ক্লথ এবং আপনি সেটা যদি না করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাকে বলাই হয় যে, তোমার পায়ের যে মাপ সেই মাপের বড় মাপের জুতা পড়োনা কখনো, তাহলে তুমি হাঁটতে পারবে না। এখানে ঘটনাটা সেটাই দাঁড়িয়েছে। যেটা নিতে পারবে, যেটা কনটেইন করতে পারবে যে ইকোনমিটা, তার বাইরে গিয়ে যখন এই সমস্ত ঋণ করে মেগা প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, মূদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, রিজার্ভ নেই। বাংলাদেশে একই সঙ্গে মিলে যায়.. এটা বললে তারা অসন্তুষ্ট হয়। তারা চিৎকার করে বলতে থাকে যে, না। কিন্তু কাদের সাহেব (আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের) কিছুদিন আগে বলেছেন যে, শঙ্কা আছে। এখানে একজন খুব ভালো কথা বলেছেন, শঙ্কা না এটা ঘটবে, তোমরা যদি শিক্ষা না নাও।

কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দেশে ৪২% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, যে দেশে এখনো বহু এলাকাতে ২১% লোক দুই বেলা খেতে পায় না-এটা পত্রিকায় এসেছে। ফুড সিকিউরিটির ওপরে ইন্টিগ্রেটেড রিসার্চের প্রকাশিত ফলাফলে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটা জেলা তার মধ্যে সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রাঙ্গামাটি-এই সমস্ত এলাকাগুলোতে ২১% লোক দুই বেলা খেতে পায় না, সারাদেশের ২১% দুই বেলা খেতে পায় না।

সেই দেশে কী দরকার পড়েছে আমার এখন থার্ড টার্মিনাল করতে হবে, কী দরকার পড়েছে এখন আমাকে টানেল তৈরি করতে হবে, কী দরকার পড়েছে আমাকে চিটাগাং-ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে করতে হবে…। এসব কাজ.. ওই যে সিঙ্গাপুর বানানোর আকাঙ্ক্ষা তাতে কী হচ্ছে? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ গরীব থেকে গরীব হচ্ছে, আরও গরীব হচ্ছে। টাকাটা কার? এটা জনগনের টাকা, আমার পকেটের টাকা। প্রতিটি জায়গায় আমি যে ট্যাক্স দেই সেই টাকা। সেই আমার টাকায় গরীবের ভাত না দিয়ে তার অন্ন না দিয়ে এসব মেগা প্রজেক্টের কথা বলা হচ্ছে।

দেশে রিজার্ভের বর্তমান মজুদ অবস্থা এবং বিদ্যুতের পরিস্থিতিতও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
এমএইচ/এসএ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।