ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

রাজপথের আন্দোলনেই সরকার পরিবর্তন হবে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
রাজপথের আন্দোলনেই সরকার পরিবর্তন হবে: ফখরুল কথা বলছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি না মানলে রাজপথেই সরকার পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওকাব) ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় লক্ষ্য তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এখন রাজপথেই একমাত্র সমাধান। সরকার যদি নিজেরা উদ্যোগ না নেয় অর্থাৎ এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যে দাবিগুলো করেছি তা না মানে- রাজপথেই একমাত্র সমাধান। বাংলাদেশে তো বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে যে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন হয়। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এবং আত্ম বিশ্বাসী যে, এবার জনগণের অকুন্ঠ সমর্থন নিয়ে আমরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারের পরিবর্তন আনতে পারবো।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, নির্বাচন তখনই সম্ভব হবে যখন দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। ওই সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, সেই কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। তারপর আগে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই সম্ভব নয়। শুধু আমাদের কথা নয়, আগের এটিএম শামসুল হুদা যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তিনিও বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত জটিল। পরবর্তিকালে কেএম নুরুল হুদা সাহেব ২০১৮ সালে একটা অত্যন্ত কলঙ্কময় নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছেন তিনিও পরে বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন। আর বর্তমানে যিনি আছেন তিনি তো একেবারে হাল ছেড়ে দিয়েছেন মনে হয়। তিনি অলরেডি বলেই দিয়েছেন দলীয় সরকারের অধীনে খুব কঠিন হচ্ছে এবং এখানে যদি বিএনপি না আসে বা মূল বিরোধী দল যদি না আসে সেই নির্বাচন অর্থবহ হবে না। সেজন্য আমাদের মূল কথাটাই হচ্ছে নির্বাচনকালী তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটাই হচ্ছে আমাদের দাবি।

নির্বাচনকালীন সরকারের এজন্য সরকারকেই সংসদে আইন আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সরকারকেই আনতে হবে। আমরা তো তাই করেছিলাম ১৯৯৬ সালে নতুন সংসদ হওয়ার পরে সারারাত জেগে সংসদ আইন পাস করে আমরা পদত্যাগ করেছিলাম। সংসদ বাতিল করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ১১৬টা আসনে বিরোধী দলে বসেছিল। আমরা মেনে নিয়েছিলাম। দ্যাট ইজ দ্য ডেমোক্রেসি। সেখানে আপত্তিটা কোথায় এই সরকারের?

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাক ডোর বলে কোনো কথা নেই। আমাদের যা কিছু সব ফ্রন্ট ডোর। আমরা সবসময় সামনে থেকে প্রকাশ্যে একেবারে জনসভার মধ্য দিয়ে ঘোষণা দিচ্ছি যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপিসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে তারা ইতোমধ্যে বলে দিয়েছে কোনো নির্বাচনে যাবে না।

তাহলে কী কোনো সহিংসতায় যাচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তো নির্ভর করবে সরকারের ওপর। এই সরকার এখন ড্রাইভিং সিটে। প্রত্যেকবারই সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হয় যেকোনো রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করার জন্য।

মিট দ্য প্রেসের অনুষ্ঠানে ওকাবের আহ্বায়ক বিবিসির সংবাদদাতা কাদির কল্লোল ও সদস্য সচিব জার্মান নিউজ এজেন্সি-ডিপিএর সংবাদদাতা নজরুল ইসলাম মিঠুর সঞ্চালনায় এতে ওকাবের জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরিদ আহমেদ মূল মঞ্চে ছিলেন।

মিট দ্য ওকাব অনুষ্ঠানে বিএনপির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।