ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

সারাদেশে আ.লীগের দুর্নীতির প্রমাণ গিজগিজ করছে: সোহেল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
সারাদেশে আ.লীগের দুর্নীতির প্রমাণ গিজগিজ করছে: সোহেল

নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল বলেছেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির প্রমাণ গিজগিজ করছে। পৃথিবীর প্রতিটি মহাদেশে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির চিহ্ন রয়েছে।

আকাশে স্যাটেলাইট হয়ে ঝুলছে তাদের দুর্নীতির প্রমাণ।  

রোববার (৩১ জুলাই) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোহেল বলেন, নারায়ণগঞ্জে একসময় অবশ্যই গডফাদারদের পতন ঘটবে। সন্ত্রাসের বিষবাষ্প ঘুচবে, ফুল ফুটবে। শহীদ জিয়ার সৈনিকরা এ শহরকে শান্তির নগরে পরিণত করবেই করবে।  

তিনি বলেন, আপনারা একজন শিল্পীর নাম বলেছেন। মানিকগঞ্জ বাড়ি। আগে মাজারে গান গাইতেন। এটা খারাপ না। গান গাইতেই পারেন। পার্লামেন্টে গেছেন এতেও খারাপ কিছু দেখি না। কিন্তু কীভাবে গিয়েছেন। গ্রামে একটা কথা আছে ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে। ঠিক তেমনিভাবে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনদের পরে এ ওঠ ছুঁড়ি মার্কা নির্বাচন হচ্ছে। শেখ হাসিনাও এখন ওঠ ছুঁড়ি তুই এমপি, ওঠ ছুঁড়ি তুই এমপি। এভাবে এমপি বানাচ্ছে। আপনি শিল্পী তাই বলে পার্লামেন্টে গান গাইবেন নাকি। ওটা কী গান গাওয়ার জায়গা। তাহলে তো কোনো নৃত্যশিল্পী পার্লামেন্টে গেলে নাচতে শুরু করে দেবে।

‘সেদিন তিনি বললেন মাথায় করে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে। হঠাৎ দেখলাম হৈ হৈ কাণ্ড রৈ রৈ ব্যাপার। খোঁজ নিয়ে দেখি আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী সিন্দুকের ভেতরে থাকেন। কারণ আমরা ছোটবেলায় কবিতা পড়তাম নন্দলাল। নন্দলাল ঘর থেকে বের হত না। সে বাড়ি থেকে বের হত না রাস্তায় হাঁটত না। আমাদের নন্দলাল মার্কা প্রধানমন্ত্রীও ঘর থেকে বের হন না। ’

সোহেল বলেন, তিনি কুইক রেন্টাল করেছেন। এটা হচ্ছে কুইক চুরি। বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে তাড়াহুড়ো করে কুইক রেন্টাল দিলেন। এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা বিদ্যুৎ না নিলেও তাদের টাকা দিতে হবে। মামা বাড়ির আবদার। আমরা বিরোধিতা করেছিলাম আমাদের কথা শোনেনি। এর জন্য আবার ইনডেমনিটি দিয়েছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ চুরির ব্যাপারে মামলা করা যাবে না। এ বছর ২২০ দিন তাদের বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হয়েছে। এ টাকা কী শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে এসেছে। জনগণের টাকা এগুলো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশেও রাজাপাকসে পরিবার আছে। তারা হাত কাটা কোর্ট পরে। তাদের ধরা ছোয়া যাবে না। তিন বছরে ৫৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে তারা। দুর্নীতি শুধু বিদ্যুতে নয়। দুর্নীতি কোথায় হচ্ছে না বলুন। সব জায়গায় একই অবস্থা। ওদের রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ। তিনশ টাকার বালিশ ছয়শ, তা তুলতে আটশ। আটত্রিশ লাখ টাকা একটা পর্দার দাম। মেডিক্যালের বইয়ের দাম ছিয়াশি হাজার টাকা। প্রতিদিন পত্রিকা খুললে একটা না একটা পাই।

সোহেল বলেন, সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হলো ভোটের দুর্নীতি। বিদেশিরা যখন শোনে বাংলাদেশের মানুষ স্লোগান দেয় আমার ভোট আমি দেব, দিনের ভোট দিনে দেব। তখন তারা হাসে। দিনের ভোট তো দিনেই হয়। তাদের কীভাবে বোঝাই বাংলাদেশে দিনের ভোট রাতে হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
এমআরপি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।