ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ব্যাপক জনসমাগমে জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ব্যাপক জনসমাগমে জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ

ঢাকা: প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে মোকাবিলায় ব্যাপক জনসমাগমের কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনসমর্থনের পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শক্তি ও প্রমাণ করতে করতে চায় তারা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, ইতোমধ্যেই বিএনপি বড় ধরনের জনসমাগম ঘটানোর বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নেমেছে। বিএনপির এসব কর্মসূচিতে জনসমাগমের বিষয়টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর সে কারণেই কৌশল হিসাবে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি এবং তাতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি৷ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বেশ কিছু দাবিতে বিএনপি এ কর্মসুচি দিলেও বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো এর মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে৷ যদিও তাদের সরকার পতনের লক্ষ্য সফল হবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধাকরা। তবে জাতীয় নির্বচনকে সামনে রেখে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সুযোগ নিয়ে বিএনপি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করবে বলে তারা মনে করেন৷

নির্বাচনের আগে বিএনপির একের পর এক এই জনসমাগমের কর্মসূচি এবং সমাবেশে মানুষের উপস্থিতির হার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা অস্বস্থিও তৈরি করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারের জনপ্রিয়তার প্রমাণ ও সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যাপক জনসমাগমের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

এর অংশ হিসেবে শনিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর মধ্য দিয়ে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে এ সম্মেলন বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়৷ এর মধ্য দিয়ে দলের কর্মীসমর্থকদের ব্যাপক শো ডাউন ও সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করলো দলটি। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সাধারণত নগরীর বাইরে হয়ে থাকে। তবে, শো ডাউন ও সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই এবার ঢাকা মহানগরের মধ্যে সম্মেলনের স্থান বেছে নেওয়া হয়।

এই সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। একই সময় রংপুর অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। বিএনপির ওই সমাবেশের চেয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকার কর্মসূচিতে জনসমাগম দ্বিগুণ হয়েছে বলে সমাবেশের বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের দাবি করেন।

বিএনপির ওই সমাবেশ ৫০ বা ৬০ হাজার লোক হতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগের এ কর্মসূচিতে লাখো জনতার সমাবেশ ঘটেছে বলেও তিনি দাবি করেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটনা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।

এদিকে ঢাকা থেকে শুরু হওয়া এই ধরনের কর্মসূচি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়। এখন থেকে দলীয় কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ জমায়েত নিশ্চিত করা হবে বলেও ওই সূত্র উল্লেখ করে জেলা পর্যায়ে এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে৷

রাজপথ দখলে রাখতে সারা দেশে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে জনসমাগম এবং সাংঠনিক শক্তি প্রদর্শন  অব্যাহত থাকবে বলেও এসব  সূত্র নিশ্চিত করেছে৷

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘন্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।