ঢাকা: কমিশনিংয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এরই অংশ হিসেবে গত ৮ ডিসেম্বর রিঅ্যাক্টরটি উন্মুক্ত রেখে বিভিন্ন সিস্টেমের ‘ফ্লাশিং’ এর কাজ শুরু হয়েছে।
ফ্লাশিং পদ্ধতিতে সংযোগকারী পাইপলাইন ও প্রাইমারি সার্কিটের পাইপলাইনে মিনারেলমুক্ত পানি রিঅ্যাক্টর ভেসেলে (চুল্লির আধার) প্রবাহিত করা হয়। , এর উদ্দেশ্য হলো, যন্ত্রপাতি ও পাইপলাইন স্থাপনের সময় কোনো ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করা।
এএসই ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি ডেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘রিঅ্যাক্টর উন্মুক্ত রেখে সক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর ফ্লাশিং প্রি-কমিশনিং কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ । সব যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়া ব্যবস্থার অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, আর এটি হচ্ছে তার মধ্যে প্রথম। ’
রিঅ্যাক্টরের সবকিছু সঠিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে কিনা এবং এটি অপারেশন্স-এর জন্য প্রস্তুত কিনা তা এই ফ্লাশিং-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্বাভাবিক অপারেশন্স ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত পানির পাম্পগুলোর কার্যকারিতাও এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়।
রূপপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর রাশিয়ার রোসাটম কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। এর প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে থ্রি-প্লাস প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিঅ্যাক্টর, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এসকে/এমএমজেড
