ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বাংলানিউজকে মাহবুবুল আলম

গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কটে ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ কমেছে

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো চিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১২
গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কটে ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ কমেছে

চট্টগ্রাম: চিটাগাং চেম্বার এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়ে চট্টগ্রামে এক বছরে ১৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ কমেছে। ’

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি এ কথা বলেন।



পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে ও পর্যটন শিল্প নিয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরেন এই শিল্পপতি।

এ সময় গ্যাসের চলমান সংকট নিরসনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

চট্টগ্রামের এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘বৃহত্তর চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা কেজিডিসিএল’র হিসেব অনুযায়ী দৈনিক প্রায় ৩৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন বৃদ্ধিতে এ চাহিদা বর্তমানে ৪৫০ থেকে ৫৮০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ চাহিদার বিপরীতে মাত্র ২১০ থেকে ২২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ’

বিদ্যুৎ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একইভাবে চট্টগ্রামে ৬০০ থেকে ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলেও পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট। এর উপর বর্তমানে চট্টগ্রামে প্রতিদিন প্রায় ১শ’ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। ’

গ্যাস ও বিদ্যুতের এ সঙ্কট মোকাবিলায় বাস্তবভিত্তিক একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি বলে মত দেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম বন্দরকে জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বন্দরকে আরও উৎপাদনশীল, গতিশীল, দক্ষ ও সেবার গুণগতমান বাড়াতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘এ বন্দর শুধু দেশের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখবে না, ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবেও ভূমিকা রাখবে। ’  

তিনি বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে অবকাঠামো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তর, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং, বন্দর ব্যবহারকারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনসহ একাধিক সুপারিশ করেন।

তিনি লাকসাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘৩ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ঢাকা- চট্টগ্রাম যাতায়াত সম্ভব। এ ব্যাপারে বেসরকারি খাত থেকে বিওটি ভিত্তিক প্রস্তাব রয়েছে।

তিনি বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে একটি ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুললে পর্যটন শিল্পের বিকাশ আরও তরান্বিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১২

সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।