ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: প্রথম ইউনিটে স্থাপিত হলো ‘কোর ব্যারেল’

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: প্রথম ইউনিটে স্থাপিত হলো ‘কোর ব্যারেল’

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট জ্বালানি লোডের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই মধ্যে ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে কোর ব্যারেল।

মঙ্গলবার (৩০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটম এ তথ্য জানায়।

রোসাটম জানায়, রিয়্যাক্টরের অভ্যন্তরে যেসব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি থাকে, তার ভেতর কোর ব্যারেল অন্যতম। এর ভেতরে স্থাপিত হয় জ্বালানি অ্যাসেম্বেলি এবং ব্যাফেল। ফুয়েল অ্যাসেম্বেলিতেই সংগঠিত হয় পারমাণবিক বিক্রিয়া। কোর ব্যারেলের নিচের অংশে অনেকগুলো ছিদ্র থাকে, যাতে কুল্যান্ট বা শীতলকারী পদার্থ (বিশেষভাবে মিনারেলমুক্ত পানি), এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জ্বালানি রডের বহিরাবরণকে শীতল রাখতে পারে। কোর ব্যারেলটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে কুল্যান্টের প্রবেশ ও বহির্গমন আলাদা থাকে। এটি রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলকে নিউট্রন এবং গামা রেডিয়েশন থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ ধরনের স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি কোর ব্যারেলটি রিয়্যাক্টরের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটির ওজন ৭৩ দশমিক ৭৪ টন, দৈর্ঘ্য ৩৫ দশমিক ৬৬ ফুট, এবং ব্যাস ১১ দশমিক ৮৪ ফুট।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রোসাটম।  

কেন্দ্রটিতে তৃতীয় প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক দুটি ইউনিট স্থাপন করা হবে, প্রতিটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। রিয়্যাক্টরের আয়ুষ্কাল ৬০ বছর। তবে তা আরও ২০ বছর বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ সালের শেষ দিকে এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।