ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বাগেরহাটে হচ্ছে ৩০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
বাগেরহাটে হচ্ছে ৩০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

ঢাকা: বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হয়েছে। নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১১ দশমিক শূন্য ৬৭ টাকা হিসাবে আনুমানিক ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি ও ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য নয়টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় এর প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত আটটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জয়েন্ট স্টক কোম্পানি সৌদি আরবের অ্যাকোয়া পাওয়ার কোম্পানি, বাংলাদেশের কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এবং মিডল্যান্ড ইস্ট পাওয়ার লিমিটেড বাংলাদেশকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সৌদি আরবের অ্যাকোয়া পাওয়ার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে বেসরকারি খাতে বিউবো ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় ৩০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ট্যারিফ অনুমোদনে একটি প্রস্তাব আসে প্রস্তাবটি আজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে ১২ শতাংশ মূল্য ছাড়, ছয় শতাংশ উৎসে কর এবং সাড়ে ১৮ শতাংশ প্লান্টখাতে উক্ত কোম্পানিকে আনুমানিক ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।