ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সব গণপরিবহনকে দ্রুত বিদ্যুৎচালিত করা উচিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
সব গণপরিবহনকে দ্রুত বিদ্যুৎচালিত করা উচিত

ঢাকা: বিদ্যুৎচালিত যানবাহন পরিবেশবন্ধব এবং সব গণপরিবহনকে দ্রুত বিদ্যুৎচালিত পরিবহনে নিয়ে আসা উচিত বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

শামীম ওসমান তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে। রিকশার মধ্যেও ব্যাটারি লাগানো হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপদজনক এবং চলাচলও নিষিদ্ধ। এই অটোরিকশাগুলো চার্জ করতে গিয়ে ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ হয়। তারা আমাদের ৭/৮শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। এগুলো একযোগে সারা দেশে বন্ধের কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না?

উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সারা বিশ্বে এখন একটা রেভিউলেশন চলছে, কত দ্রুত ট্রান্সপোর্ট সেক্টরকে ইলেকট্রিক ভেইকেলের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। এর সুবিধা দুইটা। আমরা যারা তেল দিয়ে গাড়ি চালাই সেই তেলে ইঞ্জিন ঘোরে তার যে শক্তি সঞ্চয় করে তার ইফিসিয়েন্সি লেভেল ২০ ভাগ। আর আর বিদ্যুৎ দিয়ে শক্তি সঞ্চার করে যে গাড়ি চলবে তার ইফেসিয়েন্সি লেভেল হলো ৮০ ভাগ।

মূলত; আমরা উৎসাহিত করি ইলেকট্রিক ভেইকেলগুলো আসুক বাজারে যত দ্রুত পারে। এতে কোনো যানবাহন এক কিলোমিটার চলতে যদি ১০০ টাকা লাগে, তখন খরচ হবে ২০ টাকা। বাংলাদেশে ৪০ লাখের ওপর থ্রি-হুইলার আছে যারা লেড ব্যাটারি ব্যবহার করে। লেড ব্যাটারিগুলো চার্জ করতে সময় বেশি লাগে, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। এ ব্যাটারিগুলো যদি লিথিয়াম ব্যাটারি হয় তাহলে চার্জ করতে লাগবে আধা ঘণ্টা।

তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ গত বছর ইলেকট্রিক যানবাহনের চার্জিং স্টেশনের পলিসি বানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। পরে আমরা সবগুলো ডিস্টিবিউশন কোম্পানিকে ওয়েব সাইটে দিয়ে দিয়েছি। যে কেউ যদি কোনো চার্জিং স্টেশন বসাতে চায় ওয়েব সাইটে গিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করে বসাতে পারে।

থ্রি-হুইলারগুলোকে বাংলার টেসলা আখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন বিদ্যুৎচালিত থ্রি-হুইলারের সংখ্যা ৪০ লাখ।  আমি এগুলোকে বলব বাংলার টেসলা। যারা উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নিজে হাতে এগুলো তৈরি করছেন, আমাদের  শক্তি দিয়ে কাজ করছেন, আমরা এগুলোকে বাধা দিচ্ছি না। যান্ত্রিকভাবে ত্রুটি থাকতে পারে কিন্তু ইলেকট্রিসিটি যেটা ব্যবহার করছে সেটার রিটার্ন কিন্তু অনেক বেশি। এই ৪০ লাখ রিকশাচালক যারা ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করছে তারা অবশ্যই আয় করছে। আমরা চাচ্ছি, এই লেড ব্যাটারি থেকে তারা যেন লিথিয়াম ব্যাটারিতে চলে আসে। এইটা নিয়ে আমরা একটা প্রকল্প করছি, একটা পাইলট প্রজেক্ট অচিরেই করব।

নসরুল হামিদ বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশে যত পাবলিক পরিবহন (বাস) আছে, সেগুলোর পরিবর্তে দ্রুততার সঙ্গে ইলেকট্রিক বাসে নিয়ে আসা উচিত। বাংলাদেশের পরিবহন সেক্টর প্রায় ১৮ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করে, যার কারণে ইলেকট্রিক যানবাহনগুলো দ্রুততার সঙ্গে নিয়ে আসা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এসকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।