মাদারীপুর: অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন, পে-স্কেল প্রদান, বিশেষ প্রণোদনা, বোনাসসহ ১২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৯টা থেকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে সেবা বন্ধ করে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (আরইবি) বৈষম্যমূলক আচরণে সারা দেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের সাপ্তাহিক সরকারি ছুটিসহ সরকার ঘোষিত বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা, বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে আরইবির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কর্মবিরতিসহ দাবি আদায়ে তারা একাধিকবার নানা কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু আরইবির পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। ১২ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সব রকম কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান খান, জান্নাতুল ফেরদাউস, তৌহিদুর রহমান, আবু হক সরদার, বরুণ কুমার প্রামাণিক, সুপারভাইজার নাজমুল হুদা ঈমন, জহিরুল হক, পারভেজ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রাজীব হোসেন প্রমুখ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান খান বলেন, আমরা আজ চরমভাবে অবহেলিত। সরকার নির্ধারিত ছুটি আমরা পাই না। আমাদের শুক্রবার ও শনিবার ছুটি দিতে হবে। এক ও অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন করতে হবে। চুক্তি ভিত্তিক লাইন শ্রমিকদের জনবল নিয়োগের মাধ্যমে স্থায়ীকরণ করতে হবে। সেইসঙ্গে সরকারি নিয়মানুযায়ী যাতায়াত ভাতা, ওভারটাইম ভাতা, টিফিন ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। আমাদের ১২ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা এই কর্মবিরতি পালন করে যাবো।
অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশে জেলার ৩টি জোনাল অফিস ও ২টি সাব জোনাল অফিসের প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক কর্মচারী-কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। তারা প্রতিদিন বিদ্যুৎ সার্ভিস চালু রেখে দাপ্তরিক সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকছে। তাদের নির্দিষ্ট দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তারা।
মস্তফাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. জোনাব আলী বলেন, কর্মবিরতি করছেন অল্প সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বাকি সবাই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কারণ এটি আমাদের সেবাভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। যারা কাজ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন, তাদের আহ্বান করবো তারা যেন কাজে ফিরে আসেন। তাদের দাবি আদায়ের বিষয় আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
আরএ