ঢাকা: দুই দফা দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সারা দেশের ৮০ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎসেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস।
রাজন কুমার দাস বলেন, ০১ জুলাই সকাল থেকে সারা দেশে সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান নেবেন।
তাদের দুটি দাবি হলো- স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহকসেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করা।
রোববার (৩০ জুন) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (বিআরইবি) অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
রাজন কুমার দাস বলেন, এসব বৈষম্য নিরসন ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সমস্যা সমাধানে বিদ্যুৎ বিভাগ ১৫ কার্যদিবসের সময় দিলে তারা কাজে ফিরে যান।
তিনি বলেন, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বরখাস্ত, সংযুক্ত ও তাৎক্ষণিক বদলিতে যারা আছেন, সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও বরখাস্ত দুজন ও তাৎক্ষণিক বদলিতে দুজনকে অদ্যাবধি অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তাই আবারও বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপীড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুনরায় কর্মবিরতিতে যেতে হচ্ছে।
রাজন কুমার দাস আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী সারা দেশের ৮০ পল্লী বিদ্যুৎ সমিরি ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেওয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআরএস