ঢাকা: নর্থ সি-রুটের (উত্তর সমুদ্রপথ) উন্নয়নের জন্য এই রুটে কার্গো চলাচল বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক আর্কটিক ফোরাম ‘দা আর্কটিক- দা টেরিটরি অব ডায়ালগ’ এ ‘নর্থ সি-রুটের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন মডেল’ শীর্ষক একটি সেশনে দেওয়া বক্তব্যে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷
লিখাচেভ বলেন, সর্বপ্রথমে নর্থ সি-রুটে কার্গো জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে এই রুটে কার্গো পরিবহন অনেক বেড়েছে এবং গত বছর এর পরিমাণ রেকর্ড ৩৮ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। এই রুটের সঙ্গে যুক্ত মহল আমাদের শত শত মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান চাহিদা পূরণে আমাদের ১১টি আইসব্রেকার প্রয়োজন, যা ইতোমধ্যেই আমাদের হাতে আছে। এগুলোর মধ্যে আটটি পরমাণু শক্তিচালিত। আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে পদার্পণ করতে হবে, ১শ থেকে দেড়শ মিলিয়ন কার্গো পরিবহনের সক্ষমতা। এজন্য আমাদের দরকার ১৫-১৭টি আইসব্রেকার, যা আমাদের নির্মাণ করতে হবে।
নর্থ সি-রুটের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে রসাটম মহাপরিচালক বলেন, আইসব্রেকার কার্গো পরিবহন করে না। এজন্য দরকার কার্গো জাহাজের বহর। আমাদের হাতে এই মুহূর্তে যথেষ্ট পরিমাণ কার্গো জাহাজ নেই। তাই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
নর্থ সি-রুটের উন্নয়নে ৩০ বছরমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এই সমুদ্র পথের উন্নয়ন পরিকল্পনা অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। আর্কটিক (উত্তর মেরু) উন্নয়নে রুশ প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি ভ্লাদিমির পানোভ চীন এবং ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে চালু রয়েছে। নর্থ সি-রুট ব্যবহার করে চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে কনটেইনার কার্গো চলাচল দু’বছর আগে শুরু হয়েছে এবং প্রতি বছরই কার্গো পরিবহনের পরিমাণ বাড়ছে।
রুশ আর্কটিক অঞ্চলের উন্নয়ন দেশটির একটি অগ্রাধিকার জাতীয় কৌশল। ২০১৮ সালে রুশ সরকার রোসাটমকে নর্থ সি-রুটের অবকাঠামো অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এসকে/এএটি