ঢাকা, শনিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৪ জুন ২০২৫, ১৭ জিলহজ ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বাসাবাড়িতে কেয়ামত পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১০, জুন ১৩, ২০২৫
বাসাবাড়িতে কেয়ামত পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

বাসাবাড়িতে নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া কেয়ামত পর্যন্ত বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নাই।

সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে অপচয় করা হচ্ছে। আমার পক্ষে যদি সম্ভব হতো, তাহলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।

সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয়, সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা - এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না, সেখানে বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্প মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।

ফাওজুল কবির খান বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। সেই সঙ্গে এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।

সিলেটের কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। শুক্রবারও দুটি কূপ পরিদর্শনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এরআগে সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকাস্থ কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭নং কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নং কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এই মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএল'র প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্ট'র ডিজিএম জাফর রায়হান সহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

এনইউ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।