ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিল পাস

বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বিধানের সময় বাড়লো

পার্লামেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১২
বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বিধানের সময় বাড়লো

সংসদ ভবন থেকে: বিদ্যুৎ ও গ্যাস দ্রুত উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে সরকারের যে কোনো প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে বিতর্কিত বিশেষ বিধানের সময়সীমা আরও দুই বছর বাড়িয়ে সংসদে বিল পাস করা হয়েছে।
 
বুধবার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অ্যাক্ট- ২০১২’  বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বিদ্যু‍ৎ, জ্বালানি ও খণিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক।

পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
 
বিদ্যুত ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনে চুক্তির ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি বিধান অনুসরণ না করার ক্ষমতা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

এ আইনের ফলে সরকারের ক্রয় বা চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রক্ষার স্বার্থে ২০০৬ সালে প্রণীত সরকারি ক্রয় নীতি আইনটি অনুসরণের কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকে না।
 
সংশোধিত বিলটি পাসের ফলে কর্তৃপক্ষ আরও দুই বছর এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ পাবে।

বিলটি পাসের ফলে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সংবাদপত্রে ও ওয়েবসাইটে দ্রুত দরপত্র কার্যাদেশ প্রকাশ করতে পারবে এবং দরপত্রে অংশ্রগ্রহণকারীদের সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমঝোতা করতে পারবে। এই আইনের কারণে সমস্ত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদনের ক্ষেত্রে আদালতে কোনো ধরণের প্রশ্ন করা যাবে না।

এই আইনটি প্রণয়নের পর আইন বিশেষজ্ঞরা তুমুল বিরোধিতা করেন। তারা দাবি করেন, এর মাধ্যম্যে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হবে।

বিশেষ বিধানের সময়সীমা আরও দুই বছর বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলেন, ‘‘দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অব্যাহত থাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিশেষ বিধানটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন। গত বছরের অক্টোবরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ’’
 
তিনি আরও বলেন, ‘‘আরও কয়েকটি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সময় বাড়ানো জরুরি।

এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ কমিটির প্রথম রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করেন।

অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২০১০-১১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন। ’’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১২
এসএইচ/জেপি/ সম্পাদনা: জয়নাল ‍আবেদীন, নিউজরুম এডিটর; এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।