ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৩

ঢাকা: সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সকল উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ‘ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট’ সংগঠনের নেতারা। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।



সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাকিল আক্তার বলেন, ‘সুন্দরবনের রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবন ও এর আশপাশের পরিবেশগত কী কী ক্ষতি হবে সে বিষয়ে দুইটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। ’

মানববন্ধনে জানানো হয়, ২০১১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী পৃথক দুইটি প্রতিবেদন জমা দেন।

আব্দুস সাত্তার রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে সুন্দরবনের ২৩ ধরনের ক্ষতি হওয়ার বিষয় তার প্রতিবেদনে তুলে ধরেন। পাশাপাশি সুন্দরবনের সার্বিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ও এলাকার পরিবেশ সংকট সৃষ্টি হবে বলে উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন একবছর গবেষণা করে সুন্দরবনের ক্ষতিসহ ২২টি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এছাড়া এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিবেশ, পরিবহন, শিল্প, জ্বালানি নীতি, মোটরযান অর্ডিন্যান্স, জলসীমা, মৎস্য, পরিবেশ সংরক্ষণ, বন, জলাশয় সংরক্ষণ, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইন ও জাতিসংঘ ঘোষিত রামসার কনভেনশন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী ঘোষণার মূলনীতি লঙ্ঘিত হবে উল্লেখ করে, সরকারকে এ প্রকল্প অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তেল, গ্যাস, বন্দর রক্ষা কমিটির নেতা সরদার রুহুল আমিন প্রিন্স বলেন, ‘ভারত প্রকল্পটি  উত্তর প্রদেশে বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। প্রকল্প থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে জলাশয় থাকায় ভারতীয় আইনবিরোধী বলে সেখানে করতে পারেনি। ’

সেখানে রামপাল সুন্দরবন থেকে মাত্র নয় কিলোমিটার দূরে উল্লেখ করে তিনি বেআইনি এ প্রকল্প থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

তেল, গ্যাস, বন্দর রক্ষা কমিটির নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, ‘সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্ব ঐতিহ্য। এটি ধ্বংস করার অধিকার সরকারের নেই। মাত্র তিন মাস পরে জাতীয় নির্বাচন। সরকার চাইলেও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে না। করলে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে। ’

রামপাল এলাকায় স্থানীয় সাংসদ মোটা অংকের টাকা কামানোর জন্য এলাকাবাসীকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে উদ্ধুদ্ধ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

সংগঠনের সভাপতি ড. আবু সাঈদ বলেন, ‘রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে শুধু পরিবেশ নয় মানবস্বাস্থ্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ’ তিনি প্রকল্পটি রামপাল থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়াসহ তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৩
আরইউ/সম্পাদনা: তানিম কবির ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।