ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে স্থায়ী নিয়োগের দাবি ২৬০ শ্রমিক-কর্মচারীর

পার্বতীপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে স্থায়ী নিয়োগের দাবি ২৬০ শ্রমিক-কর্মচারীর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে স্থায়ী নিয়োগের দাবি করেছে ক্যাজুয়াল ও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কর্মরত ২৬০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী। অবিলম্বে দাবি আদায় না হলে খনি অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।



বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সংস্থা শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এবং বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি দেন।

খনির সিবিএ কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাসেম সিকদার বলেন, খনিতে বর্তমানে কর্মরত জনবল প্রায় ১৩শ’। এর মধ্যে বিসিএমসিএল এর স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে মাত্র ২৭৫ জন। অবশিষ্ট ১০২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক ক্যাজুয়াল, তৃতীয় পক্ষ (আউটসোর্সিং) ও খনির এমঅ্যান্ডপি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসির মাধ্যমে নিয়োজিত রয়েছে। অথচ ২০০০ সালের প্রণিত জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) অনুযায়ী কয়লা খনিতে দুই হাজার ৬৭৪ জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক থাকার কথা।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে খনি কর্তৃপক্ষ ২০০০ সালের প্রণিত জনবল কাঠামো বাতিল করে ৭৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকের পদ রেখে নতুন জনবল কাঠামো প্রণয়ন করে। কিন্তু শ্রমিক কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে সে জনবল কাঠামো স্থগিত করতে বাধ্য হয় খনি কর্তৃপক্ষ।

কাসেম সিকদার আরো বলেন, বিসিএমসিএল-এ দীর্ঘদিন থেকে কর্মরত ২০ জন ক্যাজুয়াল ও আউটসোর্সিং ২৪০ জন (কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৬৫ ও সিকিউরিটি গার্ড ৭৫ জন) কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই তাদের স্থায়ী নিয়োগের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে খনির সিবিএ নেতারাসহ শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।