ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আমরা তৃপ্ত নই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৪
আমরা তৃপ্ত নই ছবি: নাজমুল হাসান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে অর্জন তাতে আমরা তৃপ্ত নই। সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারলেই কেবল সন্তুষ্ট হবো।



বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘আলোকিত এশিয়া: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আইএফসি ও জিআইজেড যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক বেড়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বেড়েছে। আমরা নভেম্বর মাসে তিন মিলিয়ন সোলার হোমস সিস্টেম সেলিব্রেট করতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়ুছে। এই চাহিদা পূরণে জ্বালানির বহুমুখীকরণ করা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক, ত্রিদেশীয় এবং আঞ্চলিকভাবে জ্বালানি লেনদেন করার চেষ্টা চলছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর মধ্য আয়ের দেশ হতে পর্যাপ্ত জ্বালানি প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন ২৪ ঘণ্টা জেগে থাকে। গার্মেন্ট সারারাত খোলা থাকে। মেয়েরা সারারাত কাজ করে। আমাদের স্কুলগুলোতে রাতে ক্লাস হচ্ছে। এটা বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের কারণেই সম্ভব হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে কাঙ্খিত গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাসটেইনেবল এনার্জির চিফ অপারেটিং অফিসার মহিন্দর গুলাতি বলেন, সহস্রাব্দের লক্ষ্য পূরণের মধ্যে জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত নেই। কিন্তু জ্বালানি ছাড়া এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষার পাশাপাশি জ্বালানিকেও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।

আয়োজকরা জানায়, বাংলাদেশের যেখানে গ্রিড লাইন নেই সেখানে সহজ কিস্তিতে বিভিন্ন ধরনের এনার্জি সাশ্রয়ী বাল্ব সরবরাহ করা হবে। গ্রাহকদের সমক্ষমতা অনুযায়ী এর কিস্তি নির্ধারণ হবে। জিআইজেড পৃথিবী জুড়ে সবার ঘরে আলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এ কর্মসূচির যাত্রা শুরু। ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ লাখ গ্রাহক তৈরি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বল্পমূল্যে এ বাল্ব বিতরণ করা হবে। এই বাল্ব ব্যবহার করলে কেরোসিনের চেয়েও কম বিদ্যুৎ খরচ হবে। একে পরিবেশ বান্ধব বলেও উল্লেখ করেন আয়োজকরা।
   
অনুষ্ঠানে জিআইজেড কান্ট্রি ডিরেক্টর তোবিস বেকার, বিশ্বব্যাংকের অপারেশন অ্যাডভাইজার ক্রিস্টিন কিমস ও সাসটেইনেবল এনার্জির চিফ অপারেটিং অফিসার মহিন্দর গুলাতি বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৪  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।