ঢাকা: চারশ’ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল)।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ মেয়াদে এ প্লান্ট স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় এপিএসসিএল’র পুরাতন এবং কম দক্ষতা সম্পন্ন ইউনিট পরিবর্তন করে নতুন ইউনিট স্থাপন করা হবে। এছাড়া উচ্চ জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রতিস্থাপন করা হবে।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং বিদ্যুৎ খাতের স্থায়ীত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। যার মাধ্যমে পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা হবে।
বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় চাহিদার তুলনায় অপার্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কৃষি, শিল্প বাণিজ্য ও সামাজিক খাতে উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সেই লক্ষে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। সরকার ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদাকে সামনে রেখে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান হাতে নিয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা হবে প্রায় ৩৪ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১০ হাজার ৪৮০ মেগাওয়াট (জুন-২০১৪)। ২০৩০ সালে বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্যই প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাজধানী ঢাকা শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি পাঁচটি তাপ-বিদ্যুৎ ইউনিট, একটি কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি গ্যাস ইঞ্জিন প্ল্যান্টের সমন্বয়ে গঠিত। এটি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা হবে প্রায় ৩৪ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১০ হাজার ৪৮০ মেগাওয়াট (জুন-২০১৪)। দীর্ঘ পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন।
সেই লক্ষে প্রায় ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি হাতে নিতে যাচ্ছি। সরকার যদি এটি আমাদের অনুমোদন দেয় তবে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্পের ব্যয় কিভাবে মেটানো হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ২ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫