ঢাকা: রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প লেনিনগ্রাদ-২, নভোভারোনেঝ-২ এবং মেশিন তৈরির কারখানা জিও পাদল্স্ক পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি বিশেষজ্ঞ দল। দু’দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মিশন কাঠামোর আওতায় এ সফরটির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার উভয় বিদ্যুৎ প্রকল্পকেই রেফারেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। রূপপুরের জন্য বর্তমানে প্রকল্প-নকশা তৈরির কাজ চলছে এবং এ বছরের শেষ নাগাদ জেনারেল কন্ট্রাক্ট স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের মূল কাজ আগামী বছর শুরু হবে। প্রকল্প মূল্য নির্ধারণের জন্য দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এগিয়ে চলছে। প্রকল্প ব্যয়ের একটি বৃহৎ অংশ রাশিয়া বাংলাদেশকে ঋণ হিসেবে প্রদান করবে।
জর্দানের একটি পারমাণবিক শক্তি বিশেষজ্ঞ দলও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে লেলিনগ্রাদ-২ আণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সম্প্রতি জর্দান-রুশ সহায়তায় প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য সর্বাধিক উপযোগী প্রকল্প নির্বাচনে আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো বর্তমানে প্রাপ্ত বিভিন্ন পরমাণবিক প্রযুক্তিগুলো ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ ও বিচার করে দেখা।
লেনিনগ্রাদ-২ প্রকল্পটি বর্তমানে নির্মাণাধীন। অপর পক্ষে নভোভারোনেঝ-২ পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করছে, এ বছরই বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হলে এটি হবে বিশ্বের প্রথম থ্রি প্লাস প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। উভয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ (আএএস) প্রযুক্তির মডেল ব্যবহৃত হচ্ছে। ভিভিইআর-টই প্রযুক্তিটি ভিভিইআর-১২০০ এর রফতানি যোগ্য মডেল। এটিকে সর্বাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ফর্মেটে তৈরি করা হয়েছে। (খবর বিজ্ঞপ্তি)
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৫
এসআই/আরআই