ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছে সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছে সরকার ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, জ্বালানি তেলে যে লোকসান (ক্ষতি) দেওয়া হয়েছে, তা সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এখন দাম কমানোর বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।



রোববার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রতি ব্যারেলের দাম উঠেছিল ১২২ ডলার। সেই বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল।

এরপরে তেলের দাম কমতে কমতে ৩৮ ডলারে নেমে আসে। তখন প্রথম দিকে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি আগে লোকসান দিয়েছে, সেগুলো মিটিয়ে নিক। একই সঙ্গে মনিটরিংও হোক। যদি দাম কমেই থাকে, তাহলে দেশেও দাম কমানো হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দাম কম থাকলেও উল্টো সুরে গাইতে থাকেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৬ আগস্ট-বুধবার সিএনজির দাম প্রতি ঘনফুটে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করার ঘোষণা দেওয়া হয়। যা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগে সরকার ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করলে ওই বছরের ২০ জানুয়ারি দূরপাল্লার বাসের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ১০ পয়সা বৃদ্ধি করে এক টাকা ৪৫ পয়সা করা হয়। তবে সব রুটেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিতে থাকেন মালিকরা।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা-বাড়ার সঙ্গে বাংলাদেশের তেলের দাম সমন্বয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট করার কোনো পলিসি নেই। তবে আমরা সেটি করার চেষ্টা করছি। আশা রাখি- একটা কিছু হবে। তার আগে আমি বলতে পারবো না। কারণ এখানে সর্বোচ্চ পর্যায় এতে সংযুক্ত আছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমি একটা স্টেটমেন্ট নিয়েছি। তাতে বেশিরভাগই কাভার হয়েছে। আমি পরশু একটা স্টেটমেন্ট পেয়েছি তাতে কাটাকাটি হয়ে গেছে।

সুতরাং আমাদের এটি দরকার আছে, সময় লাগবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) একটা ধারণা দিতে হবে। তাদের যেটা পাওয়া আমরা সেটি থেকে বরাদ্দ হিসেবে দেবো।

তবে কতটা কাভার করা হয়েছে ভুর্তকির, আর কত ভাগ সমন্বয় হয়েছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, এই মুহূর্তে বলতে পারা যাবে না। সময় লাগবে।

তেলের দাম কত কমবে আর কমালে কী প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা দাম নির্ধারণ করি দু’টি পদ্ধতিতে। তাই নিজেরাই রেশনাইজ করতে চাই- আমরা কোথায় যাবো।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন নবনির্বাচিত মেট্রোপলিটন চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সহ-সভাপতি আক্তার মতিন চৌধুরী, সদস্য এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিমিন হোসেন, পিকার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, আইসিই টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবায়েত জামিল, ব্যবসায়ী নেতা ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, এইচএসবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রাঙ্কোয়েস ডি মেরিকোর্টসহ অন্যান্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬/আপডেট ১৬০৬
এসএমএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।