ঢাকা: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে সাড়ে পাঁচ রুপি (৬.৪৩ টাকা) দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি সচিব মনোয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে। এছাড়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ঘনস্যাম প্রসাদ, ত্রিপুরা রাজ্যসভার বিদ্যুৎ দফতরের প্রধান সচিব এসকে রাকেশ, এজিএম মহানন্দ দেববর্মা।
ত্রিপুরার পালাটান গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যু ১শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে। বিদ্যুৎ আনতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কিমি ও ভারতে অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই লাইন নির্মাণ শেষ হবে, এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি উদ্বোধন করা হবে।
বাংলাদেশের কুমিল্লার কসবা লাইন দিয়ে এই বিদ্যুৎ আনা হবে। এবারের চুক্তিতে ভারত যখন বিদ্যুৎ দেবে, বাংলাদেশ তখনই টাকা পরিশোধ করবে। এর আগে, ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার সময়, বিদ্যুৎ না কিনলে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হতো। এবার সেই ক্যাপাসিটি চার্জ থাকছে না।
বৈঠক শেষে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে বলেন, আর্থিক মূল্য দিয়ে বিষয়টি বিচার করা যাবে না, এটি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে। বিদ্যুতের ক্ষেতে আরও অনেক ব্যয় জড়িত থাকে কিন্তু সেসব ধরা হয়নি। বাংলাদেশ ভারতের ভাতৃপ্রতিম দেশ বলে এই দরে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এর অনুমোদন দিয়েছে। এখন কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। আনুষ্ঠানিক চুক্তি শেষে দ্রুত বিদ্যুৎ চলে আসবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, ভারত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনে বাংলাদেশ। এবারের ১শ মেগাওয়াট আনার মধ্য দিয়ে ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। আগের ৫শ মেগাওয়াটের মধ্যে ২শ ৫০ মেগওয়াট আনা হয় ২.৫০ টাকা দরে। অন্য ২শ ৫০ মেগাওয়াট ৪.৫০ টাকা দরে আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬/আপডেটেড: ১৯৫১ ঘণ্টা
ইএস/এসএম/এসএস