ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরা-কুমিল্লা আন্তঃদেশীয় গ্রিডের উদ্বোধন করবেন বুধবার (২৩ মার্চ)। গ্রিড লাইনটি দিয়ে ত্রিপুরা থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিদ্যুৎ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি জানান, সকাল দশটায় বিদ্যুৎ আমদানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকায় শেখ হাসিনা ও দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই ভারত-বাংলাদেশ ৪শ’ কেভি ডাবল সার্কিট লাইনটিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হবে।
এ লাইন দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে। বিদ্যুৎ আনতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কিমি ও ভারতে অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। লাইনটি বাংলাদেশে কুমিল্লার কসবা দিয়ে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে গ্রিড লাইনটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫২ কিলোমিটার।
তবে ত্রিপুরা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে গত ১৬ মার্চ থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি শুরু হবে বুধবার।
ভারত যখন বিদ্যুৎ দেবে, বাংলাদেশ তখনই টাকা পরিশোধ করবে। এছাড়া আর কোনো চার্জ থাকছে না। ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে বর্তমানে যে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ না কিনলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। এবার সেই ক্যাপাসিটি চার্জ থাকছে না।
ভেড়ামারা দিয়ে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে এবারের ১শ’ মেগাওয়াট যোগ হয়ে ৬শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হচ্ছে। আগের ৫শ’ মেগাওয়াটের মধ্যে ২শ’ ৫০ মেগওয়াট ইউনিটপ্রতি ২.৫০ টাকা ও অন্য ২শ’ ৫০ মেগাওয়াট ইউনিটপ্রতি ৪.৫০ টাকা দরে আনা হচ্ছে। আর ত্রিপুরা থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ রুপি বা ৬.৪৩ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট। তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে প্রায় ১৭ টাকা। আর গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে মাত্র দুই টাকার মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
এএসআর