ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সাবস্টেশন বিকলেই ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন রাজশাহী সিটি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
সাবস্টেশন বিকলেই ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন রাজশাহী সিটি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সাবস্টেশন ফেইলরের (বিকল) কারণে রাজশাহী মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমেছিল। তবে পরিস্থিতি শিগগির স্বাভাবিক হচ্ছে।

বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বুধবার (২২ জুন) সন্ধ্যা থেকে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত (২৩ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা) রাজশাহী নগরীর বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সবশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, নগরীর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সাবস্টেশন ফেইলরের কারণে এ বিপর্যয় নেমেছিল। তবে এখন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন।

‘আশা করি অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ’ যোগ করেন নসরুল হামিদ।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে গোটা রাত অন্ধকারে ঢেকে থাকে পুরো মহানগরী। রাত সাড়ে ৩টার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ এলেও তা স্থায়ী হয় মাত্র ১০ মিনিট। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না নগরীতে। দুপুরের পর থেকে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে পিডিবি।

এ বিষয়ে বিকেলে রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার ইফতারের আগে কাটাখালি গ্রিডের পাশে বজ্রপাত হয়। এতে ডিপ ইনস্যুলেটর ও পোর্টেনশিয়াল ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়ে পুড়ে যায়। প্রধান ওই ট্রান্সফরমারটি দিয়েই গোটা রাজশাহীর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু সেটি পুড়ে যাওয়ায় গোটা রাজশাহীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

‘এখনও কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হচ্ছে। তবে ঠিক কতক্ষণ নাগাদ গোটা মহানগরীতে বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে তা বলা যাচ্ছে না। ’

এর ফলে রমজান মাসে স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গোটা রাজশাহী নগরীর মানুষ। এজন্য বুধবার ইফতারে মাগরিবের আযানও শোনা যায়নি বেশিরভাগ এলাকায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল রাজশাহীর সব ধরণের কল-কারখানা।

বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ঈদের বাজারে কেনাকাটাও লাটে উঠেছে। রাজশাহী থেকে কেবল দু’টি সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার। বিদ্যুতের অভাবে এখনও থমকে আছে সব ধরনের কার্যক্রম। অফিস আদালত, ব্যাংক-বিমা কোম্পানিগুলোতেও বিপর্যয় নেমে আসে। চার্জ দিতে না পারায় অতি প্রয়োজনীয় মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে অফিসিয়াল কাজের ল্যাপটপটিও। টানা ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় বন্ধ আছে কম্পিউটার, ফটোকপিসহ বিভিন্ন দোকানপাটের কার্যক্রম।

দুপুর দেড়টার পর বিদ্যুৎ আসে নগরীর শালবাগান, আসাম কলোনিসহ কিছু এলাকায়।

রাজশাহী মহানগরীর আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন জানান, কোনো ঝড়-ঝাপ্টা নেই। সামান্য এক পশলা বৃষ্টির পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তীব্র গরমে ও অন্ধকারে দোকানপাট বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে। সকালে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় অনেকে দোকানপাট খুললেও শেষ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় লাটে উঠেছে তাদের ঈদের কেনা-বেচা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
এসআই/এসএস/বিএস/এইচএ/

**রাজশাহীতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, চরম দুর্ভোগে মানুষ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।