ঢাকা: নাশকতা করে বিদ্যুৎ স্থাপনা (উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎ লাইন) বিনষ্ট করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হবে।
সোমবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯১০ সালের পুরাতন আইন সংশোধন করে আইনটি নতুন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলায় হালনাগাদ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে আইনটি ইংরেজি থেকে বাংলায় করা হয়েছে। নতুন আইনে সব মিলিয়ে ৫৮টি ধারা। নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হলো, কিছু বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতার ঘটনাগুলো এই আইনের আওতায় আসবে কিনা তা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল বলেন, আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় বিষয়টি আলোচনায় আসলেও আসতে পারে।
সচিব বলেন, ১৯১০ সালে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যে অবস্থায় ছিল ২০১৬ সালে এসে সেই অবস্থায় নেই। মূল আইনকে ভিত্তি ধরেই এই আইন করা হয়েছে। আগের আইনের কলেবর বাড়ানো হয়েছে। নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, কিছু বিষয় বাদও দেওয়া হয়েছে।
সচিব জানান, নতুন আইনে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক তদন্ত করতে এই পদ সৃষ্টি করা। আইনে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ চুরি চিহ্নিতকরণ, বিদ্যুৎ চুরি প্রতিরোধ ও অপচয় বন্ধে বিভিন্ন এজেন্সির সমন্বয়ে বিদ্যুৎ গোয়েন্দা সেলও স্থাপন গঠন করতে পারবে সরকার।
অবৈধপন্থায় কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার বা ভোগ করলে তিনি বিদ্যুৎ চুরি করেছেন বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড অথবা চুরি করা বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ অথবা ৫০ হাজার টাকা (যা পরিমাণের বেশি) জরিমানা করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যমান পুরাতন আইনে বিদ্যুৎ লাইন চুরির জন্য পাঁচ বছরের জেল এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। নতুন আইনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড (দুই বছরের কম হবে না) বা এক লাখ টাকা জরিমানার (৫০ হাজারের কম হবে না) প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৬
এসএমএ/আইএ