ঢাকা: পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ করে দেশের ১৫ লাখ গ্রাহককে নতুনভাবে বিদ্যুতের আওতায় আনতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এক হাজার ৭৭৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রাক্কলিত ব্যয় অনুযায়ী টেন্ডারও মিলছে।
ফলে প্রকল্পের এডিপিতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যৎ বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ মাত্র ৩৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
অথচ প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী ১৮ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন ও ৩৫টি উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে সরঞ্জামাদি সংগ্রহের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতোপূর্বে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এসব টেন্ডারে মোট ২ হাজার ১৩৮ কোটি টাকার দর প্রস্তাব পাওয়া গেছে। ঠিকাদারের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু তহবিল স্বল্পতার কারণে টেন্ডার চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে এক হাজার ৭৭৮ কোটি টাকার প্রয়োজন। তবে আপদকালীন চাহিদা মেটানোর জন্যে প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত আরও ৫০০ কোটি টাকার দরকার।
প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম রাশেদুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের কাজ চালানোর জন্যে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
‘অর্থের জন্য আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্টরা আমাদের প্রকল্পের কাজ চলমান রাখতে বলেছেন। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে। ’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট বাবদ মোট ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকার ব্যয় সীমা নির্ধারণ করা হয়।
যা বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনের তুলনায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা কম। ফলে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার কোটি টাকা চেয়ে অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ মেলে। যা শুধু মাত্র ১৫ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতেই ব্যয় হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ও দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ৭২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে ৬১ জেলার ৪৫৩টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন নির্মাণ ছাড়াও ৮৩টি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং ৩৫টি উপকেন্দ্র আপগ্রেড করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
এমআইএস/এমএ