ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্বারোপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১১

ঢাকা: ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘২০১২ সালের মধ্যে লোডশেডিংয়ের চলমান অবস্থার উন্নতি হবে।

কারণ এ সরকারের আমলে জাতীয় গ্রিডে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরও ১ থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। ’

মঙ্গলবার বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশের (আইডিইবি) নিজস্ব ভবনে আয়োজিত ‘প্রসপেক্টস অব রিনিউএবল এনার্জি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে ড. তৌফিক আরও বলেন, ‘৫০ বছর পর নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে হবে। জাতীয় এনার্জি পলিসিতে ২০১৫ সালের মধ্যে ৫ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতার কথা বলা হয়েছে।

জ্বালানী নির্ভরতা কমানোর জন্য সরকারের ৫০০ মেগাওয়াট সোলার এনার্জি প্লাট স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

সেমিনারে তথ্য কমিশন ও বাংলাদেশ রিনিউএবল এনার্জি সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির বিদ্যুতের বিকল্প উৎপাদনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপকতা বাড়ানোর জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। ’

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান এ খাতে কাজ করছে তাদের আর্থিক সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে আইডিইবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি একেএমএ হামিদ বলেন, ‘দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। কেননা ১৬ কোটি মানুষের দেশে ৬০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে এ হিসেব করা হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে এভাবে আগামী ৫০ বছরেও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে না। দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির যথেষ্ট উৎস আছে। এসব উৎস কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবির স্থানীয় সরকার ও গ্রামীণ উন্নয়ন সেলের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল গোফরান।

প্রবন্ধে প্রাকৃতিক গ্যাস ও ডিজেলের বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষে সোলার, বায়ুশক্তি, বায়োগ্যাস, মাইক্রো হাইড্রো, জিওথার্মাল, সাগর ঢেউ ও তরঙ্গ ইত্যাদি উৎস ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ লক্ষে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হয়।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের এরিক অটো গম, আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা ও সঙ্কট মোকাবেলায় প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি দেশে সহজলভ্য বিকল্প জ্বালানি উৎসের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।