ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা থেকে: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কল্যাণে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রায় ৫৫০টি পরিবার বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছে। এ বিদ্যুৎ পেতে সারাদেশের মতোই অর্থখরচ হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৬’ উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর শেষ দিন শনিবার (১০ ডিসেম্বর) গ্রাহকদের এ কথা জানাচ্ছিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সেখানে কথা বলছিলেন বোর্ডের বায়ু বিদ্যুৎ বিষয়ক কনসালট্যান্ট মো. ফজলুর রহমান।
আলাপ করলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে দুই মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি প্রকল্প রয়েছে। একটি প্রকল্পে ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫০টি টারবাইন রয়েছে। এই প্রকল্পটি শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে। আরেকটি প্রকল্পে রয়েছে ৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২০টি টারবাইন। এটিতে কার্যক্রম শুরু হয় চলতি বছরই। এ দু’টি প্রকল্প থেকে প্রায় ৫৫০ পরিবারকে বিদ্যুৎ সেবা দেওয়া হচ্ছে।
ফজলুর রহমান জানান, ফেনীতেও একটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। ২২৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪টি টারবাইনের এই প্রকল্পে ০ দশমিক ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০০৪ সাল থেকে। ফেনীতে উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রেডে যোগ হয়ে থাকে।
বিদ্যুৎ বোর্ডের এ কনসালট্যান্ট বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই বিদ্যুৎ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া। এই বিদ্যুতের মাধ্যমে এলইডি লাইট, টিভি, ফ্যান, ফ্রিজ, মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালানো যায়।
মেলায় কথা হয় ফেনী থেকে আসা গ্রামীণফোন কর্মকর্তা হোসেন রাব্বির সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। আমার বাড়িতেও এই বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই সরাসরি মেলায় দেখতে এলাম কীভাবে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
তিনি এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সংশ্লিষ্টদের আরও মনোযোগ ও উদ্যোগ কামনা করেন।
গত ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় এ প্রদর্শনী। এতে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার স্টল রয়েছে। শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
আরএটি/এইচএ/