ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পিডিবির দেড় হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায়ের সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১১
পিডিবির দেড় হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায়ের সুপারিশ

ঢাকা: সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বকেয়া টাকা আদায়ের সুপারিশ করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে পিডিপি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশও করা হয়েছে।



এছাড়া কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।

সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৫১তম বৈঠকে পিডিবি ও আরইবি’র কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সময় এই সুপারিশ করা হয়।

কমিটি বৈঠকে পিডিবির উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পিডিবির দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি বকেয়া পড়ে আছে। আর এ সংক্রান্ত অডিট আপত্তির সংখ্যা ১ হাজার ৭৮০টি।

এছাড়া, একই অর্থ বছরে বিল ভাউচার না থাকায় ১ কোটি ৭২ লাখ টাকারও বেশি ৫১টি অডিট আপত্তি এসেছে। এসব অডিট আপত্তির ক্ষেত্রে আর্থিক বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে এবং ভাউচার ছাড়া অর্থ পরিশোধ করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে কমিটি।

বৈঠকের পর কমিটির সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পিডিবি’র কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে। এসব বকেয়া টাকা আদায়ের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ‘

কুইক রেন্টাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিদ্যুৎ সেবা দিতেই কুইক রেন্টাল কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে অনেক সময় নেতিবাচক কথাও শুনা যাচ্ছে, যা এর উদ্দেশ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। ’

বাদল আরও বলেন, ‘কমিটি মনে করে, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর স্থাপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আরো স্বচ্ছতার প্রয়োজন। এজন্যই এই বিষয়ে কমিটি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে। ’

এছাড়া কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মতো আরো পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে একটি প্রতিবেদন কমিটিতে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
 
বৈঠকে বাংলাদেশ পিডিবি ও আরইবি’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনার সময় জানানো হয়, ২০১৪ সালের পর কয়লাকে মূল জ্বালানি হিসেবে বিবেচনায় এনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার  পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বীরেন শিকদার, এসকে আবু বাকের ও মইন উদ্দীন খান বাদল অংশ নেন। এছাড়াও পিডিবি ও আরইবি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।