ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ত্রিপুরা-আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে একনেকে প্রকল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
ত্রিপুরা-আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে একনেকে প্রকল্প ...

ঢাকা: ত্রিপুরা ও আসাম থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দেশের পূর্বাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সূর্যমণিনগর (ত্রিপুরা) থেকে কুমিল্লা উত্তরে (বাংলাদেশ) বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন নির্মাণ নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকা, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ থেকে ১ হাজার ১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পটি মঙ্গলবার (২৯ মে) শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান সৈয়দ আলী বিন হাসান বাংলানিউজকে বলেন,  ত্রিপুরা ও আসাম থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। সেই লক্ষ্যেই প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সেক্টরে ভারত-বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতার জয়েন্ট ওর্য়ারকিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) ১২তম বৈঠক ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সূর্যমণিনগর থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কুমিল্লা উত্তর (বাংলাদেশ) দিয়ে সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১২তম জয়েন্ট স্ট্রিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (জেটিটি) সম্ভাব্যতা জরিপ করে একটি ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে জেডব্লিউজি’র বৈঠকে উপস্থাপন করবে।

২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১৩তম জেডব্লিউজি-এর বৈঠকে জেটিটি একটি প্রজেক্ট রিপোর্ট দাখিল করে এবং ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১৩তম জেএসসি বৈঠকে এই প্রকল্পটি অগ্রগামী করার বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করা হয়। প্রজেক্ট রির্পোটের ভিক্তিতে প্রকল্পটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে।

বর্তমানে ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ত্রিপুরার সূর্যমণিনগর থেকে কুমিল্লা (দক্ষিণ) উপকেন্দ্রের মাধ্যমে রেডিয়াল মোডে বাংলাদেশ ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এই লাইনের মাধ্যমেই সূর্যমণিনগর থেকে এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য (উত্তর) এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।