এই বিশাল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন- রোসাটমের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গ্রিডে যুক্ত হওয়াকে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘পাওয়ার’। একইসঙ্গে বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, পরমাণু বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবাদীরাও এই প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
লল্ডনভিত্তিক এনজিও এনার্জি ফর হিউমিনিটির প্রধান ক্রিস্টি গোগান বলেন, অত্যন্ত বিরূপ জলবায়ুর দুর্গম অঞ্চল, যেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার টেকসই নয় এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপরও পুরোপুরি নির্ভর করা সম্ভব নয়, এমন অবস্থায় ক্ষুদ্র এবং ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই একমাত্র সমাধান। আর্কটিকসহ অন্যান্য অঞ্চলকে কার্বনমুক্ত করার ক্ষেত্রে একাডেমিক লামানোসভ প্রথম পদক্ষেপ।
রুশ নির্মিত ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টরভিত্তিক ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভে দুটি কেএলটি-৪০সি রিয়্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে। যার প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগাওয়াট। ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১৪৪ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ মিটার প্রশস্ত।
ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টরভিত্তিক ৩০০ মেগাওয়াটের কম উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এ ধরনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলো জলে বা স্থলে কাজ করতে সক্ষম এবং রি-ফুয়েলিং ছাড়াই অনবরত তিন থেকে পাঁচ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এসকে/টিএ