ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ভারতের ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
ভারতের ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

ঢাকা: জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) ভিত্তিতে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি (এনআরএল) থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। পার্বতীপুর ডিপোতে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে এ পরিমাণ জ্বালানি আমদানিতে অর্থায়ন করবে ৩১৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এমন একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এদিন কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কেবিনেট ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম।

জানা যায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ২০২০ সালের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জিটুজি ভিত্তিতে এবং ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয় সভায়।

রেল ওয়াগন ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও সহজ পদ্ধতিতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যৌথভাবে পাইপলাইন নির্মাণ করবে সরকার। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আনা হবে।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৭৫ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে রয়েছে। এখানে জ্বালানি তেল সরবরাহসহ উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি চাহিদা মেটাতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেলের বার্ষিক চাহিদা পাঁচ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কৃষি সেচ মৌসুমে বেশি জ্বালানি প্রয়োজন হয়ে থাকে। ফলে ওই সময় জ্বালানি তেলের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে নৌপথে ও রেলপথে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়।

নৌপথে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ও কুড়িগ্রামের চিলমারী, রেলপথে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপো, রংপুর ডিপো, নাটোর, রাজশাহী জেলার পবার হরিয়ানে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। ফলে সিস্টেম লস বাড়ে। আর সিস্টেম লস কমাতেই এ উদ্যোগ নিচ্ছে বিপিসি।

বিপিসি সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় আসামের নুমালীগড় শোধনাগার থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করবে সরকার। শিলিগুড়ির মার্কেটিং টার্মিনাল (এসএমটি) থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাইপলাইন নির্মিত হবে। এরমধ্যে ভারতের অংশে পাঁচ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের ১২৫ কিলোমিটার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ জন্য ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা উন্নয়ন’ প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে বিপিসি। প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩০৮ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে এটি বাস্তবায়িত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।