ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ডিজেল পাচাররোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
ডিজেল পাচাররোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: কৃষি সেচ মৌসুম ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ছয় মাস অন্যান্য সময়ের তুলনায় ডিজেলের চাহিদা বেশি থাকে। এই সময়ে সীমান্ত দিয়ে পাচারও হয়ে থাকে। তাই জ্বালানি তেল পাচাররোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) সরকারের অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত শুন্যরেখা থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে বিজিবির নিয়মিত অভিযান ও টহল তৎপরতা এবং সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের বাইরেও প্রয়োজনে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
 
সীমান্ত রক্ষা তথা চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে ৬৯৭টি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে। বিওপিসগুলোর মধ্যবর্তীস্থানে নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ পর্যন্ত মোট ১২৮টি বর্ডার সেন্ট্রি পোস্ট (বিএসপি) তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সেচ মৌসুমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ডিজেল পাচাররোধে স্থানীয় জরনগণের মধ্যে প্রয়োজনীয় জনসচেতনা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজিবির প্রেষণা দিচ্ছে।

সম্প্রতি সমুদ্রপথে পাচারের সময় ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৫ লিটার ডিজেল জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। জ্বালানি তেল যাতে পাচার না হয় সে জন্য সীমান্তবর্তী ফিলিং স্টেশনগুলোতে তেল বিক্রিতে নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছর সেচ মৌসুমে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত ও পাচাররোধ সংক্রান্ত বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।