মঙ্গলবার (০৯ জুন) পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে সবাই যখন নিরাপদে থাকতে ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন, সেই সময়টাতে সবার ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ডিপিডিসি’র প্রতিটি কর্মী সর্বোচ্চ আন্তরিতার সঙ্গে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এরপরও কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে আমরা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিলের অভিযোগ পেয়েছি।
কেন এই অবস্থার তৈরি হয়েছে, সেটিরও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিকাশ দেওয়ান। তিনি বলেন, প্রথমে যখন নারায়ণগঞ্জ এলাকা লকডাউন করা হলো, তখন সেখানে ঢুকে বিল করা সম্ভব ছিল না। সারাদেশের করোনা পরিস্থিতির চেয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই এলাকাতেই ডিপিডিসি সেবা দিচ্ছে। আমরা একদিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কিন্তু ডাক্তার-নার্সদের মতোই সেবা খাতের ফ্রন্ট লাইন ফাইটার।
‘অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। লকডাউনের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় কিছু বিলে অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার চেক করে বিল সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছি। ’
ডিপিডিসির অনেক গ্রাহকই এ নিয়ে ভোগান্তি বা হয়রানির শিকার হন। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে বিকাশ দেওয়ান বলেন, দেখুন গ্রাহকরাই আমাদের মূল চালিকাশক্তি। তাদের সেবা দিতেই আমরা দিনরাত কাজ করি। কাজেই আমরা কোনো মতেই চাইব না কোনো গ্রাহক হয়রানির শিকার হন। এরপরও সুনির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ও প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি এও বলেন, এর আগেই জানানো হয়েছে যদি কোনো গ্রাহক মনে করেন, তার বিদ্যুৎ বিল খুব বেশি হয়েছে, তাহলে অবশ্যই ডিপিডিসি’র কল সেন্টার (১৬১১৬) বা সংশ্লিষ্ট এনওসিএস দপ্তরে অভিযোগ করলে তা সমাধান করা হবে।
প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান ডিপিডিসির ইতিহাসে অন্যতম সফল ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ- ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিপিডিসির অগ্রযাত্রা প্রসঙ্গে প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিতে ডিপিডিসি বদ্ধপরিকর। গ্রহকদের আধুনিক সেবা দিতে আধুনিক মিটার ব্যবস্থা বা স্মার্ট গ্রিড ও অ্যাডভান্স মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এএমআই) বাস্তবায়নসহ অন্যান্য উদ্যোগে ডিপিডিসি এখন একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার চালু করেছি। সিস্টেম লস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। সর্বোপরি বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি সাবেক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, চট্টগ্রাম (বিআইটি)- যা বর্তমানে চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (চুয়েট), থেকে বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
টিএ